দৈনিক ইয়েদিওত আহরোনোতের বিশ্লেষক অভি ইয়াসাখরফ বলেছেন, ইসরায়েলের তীব্র চাপের মধ্যেও হামাস আত্মসমর্পণ বা পতনের কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না। পার্সটুডে’কে তিনি জানান, হামাসের প্রতিরোধ শক্তিশালী এবং তারা এখনো অস্ত্র হস্তান্তরের কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। ইহুদিবাদী মিডিয়ার অন্য বিশ্লেষকরা ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক সংকটের কথাও উল্লেখ করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যস্থতা প্রস্তাব নিয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু হামাস দাবি করেছে, তাদের প্রতিক্রিয়া আলোচনার কাঠামোর মধ্যেই ছিল, তবে ইসরায়েল চুক্তির শর্তাবলীর পরিপন্থী আচরণ করছে।

আসাভ মেয়দানি নামে আরেক বিশ্লেষক ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত নাজুক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদী অচলাবস্থা, রাজনৈতিক বিভাজন, সামরিক চ্যালেঞ্জ এবং পশ্চিমা চাপ সহ্য করতে পারছে না।’ এর পাশাপাশি, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা দেশটিকে আরো সংকটাপন্ন করে তুলেছে।

এই পরিস্থিতিতে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় সংক্রান্ত আলোচনায় এখনো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। মার্কিন মধ্যস্থতার চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। তেল আবিব এখনো হামাসের শর্ত মেনে নিতে রাজি নয়।

শনিবার সন্ধ্যায় গাজায় হামাস ঘোষণা করেছে, তারা যুদ্ধবিরতির জন্য উইটকফের প্রস্তাব বিবেচনা করেছে, তবে ইসরায়েলের অস্বীকৃতির কারণে আলোচনায় অগ্রগতি হয়নি। হামাস দাবি করেছে, মধ্যস্থতার ভূমিকায় উইটকফ পক্ষপাতদুষ্ট।

news