গাজার রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর পরিচালিত একটি কেন্দ্রের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার ফলে, গত ২৭ মে থেকে জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করার পর রাফাহ এবং আশপাশের এলাকায় নিহত ত্রাণপ্রার্থীর সংখ্যা ১০২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ৪৯০ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই হামলাকে "ইচ্ছাকৃত এবং পুনরাবৃত্তিমূলক যুদ্ধাপরাধ" বলে অভিহিত করেছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানায়, আহত ১৮৪ জনকে ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিলিস্তিনিরা খাবারের আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছিল, আর ঠিক তখনই চারপাশ থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ত্রাণ কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সময় দেখি রাস্তায় পড়ে আছে রক্তাক্ত দেহ। শেষমেশ কিছুই পেলাম না, শুধু গুলির মুখে পড়লাম।”
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা "সন্দেহভাজনদের" লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে যারা নির্ধারিত পথ অতিক্রম করছিল। তবে হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছেন এবং বলেন, “খাবারের জন্য মানুষের জীবন হারানো মেনে নেওয়া যায় না।”
ত্রাণের আশায় লড়াই এখন যেন মৃত্যুর সঙ্গে। গাজায় মানবিক সংকট দিনে দিনে আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।


