ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটে বিশ্ব এখন দ্বিধাবিভক্ত। মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যখন ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, তখন বিশ্বের একাধিক প্রভাবশালী ও শক্তিধর দেশ প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই দেশগুলো শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, সামরিক ও প্রযুক্তিগতভাবেও ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র হলো ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য মিত্র। প্রতিবছর বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ছাড়াও নিরাপত্তা, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি আদান-প্রদান এই দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে।

ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। প্রতিরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি ও পানির ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতা গড়ে উঠেছে।

যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং কানাডা—তিন দেশই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে। যদিও মাঝে মাঝে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে সমালোচনার সুর শোনা যায়, তবে সামগ্রিকভাবে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণই থেকেছে।

অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে থাকে।

আজারবাইজান ও ইসরায়েল একে অপরের কৌশলগত অংশীদার। আজারবাইজান ইসরায়েল থেকে অস্ত্র কেনে এবং ইসরায়েল আজারবাইজান থেকে তেল আমদানি করে।

চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, চিলি, কেনিয়া, উগান্ডা, ও রুয়ান্ডা ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসা, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মিত্রতা শুধুই ধর্মীয় বা আদর্শগত নয়—বরং এর পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের স্বার্থ। ফলে, ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানো দেশের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে আরও বাড়ছে।

news