সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে হোয়াইট হাউসের একটি গোপন বৈঠক থেকে মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও করপোরেট মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযোগকে "অতিরঞ্জিত ও ভুল ব্যাখ্যা" বলে দাবি করেছে।
এনবিসি নিউজের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের শেষ দিকে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও সামরিক কর্মকর্তারা অত্যন্ত গোপনীয় "এফ-৪৭ স্টিলথ ফাইটার জেট" প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ঠিক সেই সময়, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ সেখানে প্রবেশ করলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তাকে সভা কক্ষ থেকে বাইরে যেতে বলেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঘটনাটি ছিল অপ্রত্যাশিত ও বিব্রতকর। তবে হোয়াইট হাউসের একজন সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে জানান, “জাকারবার্গকে বের করে দেওয়া হয়নি। তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এবং সামরিক বৈঠক চলায় তাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। তিনি নিজেই সম্মানসূচকভাবে স্থান ত্যাগ করেন।”
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক তৈরি করার প্রচেষ্টা।
এই প্রসঙ্গে মেটা (সাবেক ফেসবুক) কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিক্রিয়া চাইলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিক ও প্রযুক্তি খাতের এই ধরনের ঘটনাগুলো ভবিষ্যতের সম্পর্ক ও লবিং নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন এখনও জনসম্মুখে পুরোপুরি আসেনি।


