মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার উত্তেজনার বরফ গলতে শুরু করেছে আগেই। এবার সেই সম্পর্ককে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে নতুন এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছে ইরান, যেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সৌদি রাজধানী রিয়াদে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলিরেজা ইনায়াতি বার্তাটি হস্তান্তর করেন সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-খেরিজির কাছে। এটি পাঠিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। বার্তায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, ধর্মীয় ভ্রমণ এবং সামরিক সহযোগিতার ওপরও আলোকপাত করেন। এমন সময়ে এই কূটনৈতিক বার্তা বিনিময় ঘটল, যখন সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং সৌদি আরব প্রকাশ্যে সেই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তেহরানের এই বার্তা শুধু সৌদির প্রতি সৌহার্দ্য নয়, বরং গোটা অঞ্চলে নতুন এক কৌশলগত ভারসাম্য গড়ার প্রচেষ্টা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশ সাত বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে। এরপর থেকেই নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও বার্তা বিনিময় চলছে। রিয়াদের সঙ্গে তেহরানের এই ঘনিষ্ঠতা ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


