ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্র বা দখলদার ইসরাইলের মতো দাম্ভিক শক্তির কাছে মাথানত করবে না—এমনটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি জাতির সংগ্রাম কেবল রাজনীতি নয়, এটি আদর্শ ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন।
তাসনিম জানায়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইরানি জনগণ বৈদেশিক দমন-পীড়নের শিকার। বিশেষ করে কাজার ও পাহলভি যুগে জাতিকে দুর্বল ও পরনির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল। তবে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লব সেই ইতিহাস পাল্টে দেয়। শাহ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ইরানি জনগণ মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসার সংকল্প নেয়।
ইরান বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পারমাণবিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ও সামরিক সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। এতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিগুলো ইরানের বিজ্ঞানীদের হত্যা ও নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানকে থামিয়ে দিতে চেয়েছে।
তবে এই বাধাও ইরানিদের দৃঢ়চেতা মনোভাব দমন করতে পারেনি। ইরানিরা বিশ্বাস করে, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করে জালিম শক্তির মুখোমুখি হওয়াই তাদের কর্তব্য। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) এবং বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর নেতৃত্বে ইরান আত্মনির্ভরশীলতা ও প্রতিরোধের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
খামেনেয়ী বারবার বলে এসেছেন—শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা, নিজস্ব প্রযুক্তি এবং অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার ওপর ভরসা করতে হবে। এই অবস্থান ইরানকে শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, বরং মজলুমদের জন্য এক আদর্শে পরিণত করেছে, যা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


