রাশিয়ার ১১ জন রাজনৈতিক বন্দি বিশ্ব নেতাদের কাছে এক ব্যতিক্রমধর্মী খোলা চিঠি লিখেছেন। রয়টার্সের মাধ্যমে প্রকাশিত এই চিঠিতে তারা রাশিয়ার বাস্তবতার কথাই তুলে ধরেছেন, যেখানে সমালোচনার জন্য কারাবাস সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় আজ ন্যায়বিচার এবং ন্যায্যতার কোন স্থান নেই। যারা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করার সাহস দেখায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারাগারেই তাদের সাজা দিতে হয়। এই বন্দিরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার রাশিয়ান রাজনৈতিক বন্দি এবং ইউক্রেনীয় বেসামরিক ব্যক্তিরা রয়েছে, যারা কেবল জনগণের পক্ষে কথা বলার অপরাধে শাস্তি পাচ্ছেন।

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের কার্যকরতা না থাকায় বন্দিদের স্বাস্থ্য এবং জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নির্যাতন, শারীরিক ও মানসিক চাপের অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু এর যথাযথ তদন্ত কিংবা শাস্তি হয় না। রাজনৈতিক বন্দিদের অন্যান্য বন্দিদের তুলনায় আরও কঠোর অবস্থায় রাখা হয়, এবং তাদের প্যারোলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়।

চিঠিতে যুদ্ধবন্দি ও বেসামরিকদের অবিলম্বে বিনিময় এবং অসুস্থ বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। তারা গণমাধ্যমকেও নীরব না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যেন বিশ্বের কাছে রাশিয়ার পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা যায়।

শেষে তারা শক্ত কণ্ঠে জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের কণ্ঠস্বর হারাইনি, আমরা আমাদের নাগরিক অবস্থান ধরে রেখেছি।” এই চিঠি বিশ্বনেতাদের কাছে মানবাধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ।

news