রাশিয়া আফগানিস্তানের তালেবান শাসনকে প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এই সিদ্ধান্তকে “সাহসী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বৃহস্পতিবার কাবুলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভের সঙ্গে বৈঠকে মুত্তাকি স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুত্তাকি বলেন, এটি “ইতিবাচক সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গঠনমূলক সংলাপের নতুন পর্যায়” এবং এই পদক্ষেপ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাশিয়া তালেবান শাসনকে সমর্থন করে কেবল আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেনি, বরং কাবুলের সঙ্গে সংলাপ সম্প্রসারণকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। ২০২২ সালে তারা তালেবানের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে আফগানিস্তানে তেল, গ্যাস ও গম সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও গত বছর তালেবানকে “মিত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছিল, যা দুই দেশের জটিল ইতিহাসের সূচনা করেছিল। তবে আজ রাশিয়া ও তালেবানের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

পাশাপাশি পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা তালেবানের নারীর প্রতি কঠোর বিধিনিষেধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক নিন্দা জানাচ্ছে। জাতিসংঘও লিঙ্গ বৈষম্য, জনসমক্ষে বেত্রাঘাত ও নৃশংস হামলার প্রতিবেদন করেছে। তবে রাশিয়া এখন একমাত্র দেশ যারা তালেবান সরকারকে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিয়েছে।

news