বৃষ্টির ঘাটতি মেটাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২৫ সালে ইতিমধ্যেই চালিয়েছে ১৮৫টি ক্লাউড সিডিং মিশন। উন্নত প্রযুক্তি, এআই পূর্বাভাস ও বিশেষ প্রশিক্ষিত পাইলটের মাধ্যমে মরুপ্রধান দেশটিতে বৃষ্টির হার বেড়েছে ২৩% পর্যন্ত, যা এখন বিশ্বজুড়ে পানি সংকট সমাধানের অনুপ্রেরণা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মরুভূমিতে বৃষ্টির অভাব মেটাতে চলছে প্রযুক্তির জাদু। ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত দেশটি চালিয়েছে ১৮৫টি ক্লাউড সিডিং মিশন, যার মধ্যে শুধু জুলাই মাসেই রয়েছে ৩৯টি অভিযান।

সম্প্রতি আবুধাবি ও দুবাইসহ বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি, ধুলিঝড় ও কুয়াশা দেখা গেছে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে নাগরিকরা পেয়েছেন স্বস্তি।

ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তিতে মেঘে হাইগ্রোস্কোপিক ফ্লেয়ার, ন্যানোম্যাটেরিয়াল ও বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করে বৃষ্টির হার ১০-২৫% পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রতি বছর ৯০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এসব মিশন, যেখানে প্রতি ঘণ্টার খরচ প্রায় ২৯,০০০ দিরহাম।

এনসিএমের টিমে আছে ১২ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত পাইলট, চারটি নির্দিষ্ট বিমান, আধুনিক রাডার, এআই পূর্বাভাস এবং রিয়েল-টাইম ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবস্থা। পাইলট ক্যাপ্টেন মার্ক নিউম্যান জানান, প্রতিটি মিশনে গড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। মেঘের নিচে লবণের কণা ছড়িয়েই বাড়ানো হয় বৃষ্টির সম্ভাবনা।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর অতিরিক্ত ১৬৮-৮৩৮ মিলিয়ন ঘনমিটার বৃষ্টি তৈরি হয়, যা পানি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ২০০৩ সালের পর থেকে বৃষ্টির হার বেড়েছে গড়ে ২৩%।

ইউএই রেইন এনহান্সমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক আলিয়া আল মাজরুই জানান, এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে পানি সংকটে থাকা দেশগুলোর জন্য বড় অনুপ্রেরণা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে।

 

news