খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের চুক্তি সই: ইইউর প্রতিক্রিয়া
তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে একটি চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার রাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বৃহত্তম রপ্তানি বন্দর ওদেসাসহ তিনটি বন্দর উন্মুক্ত করা হবে। শুধুমাত্র ওদেসা বন্দরে দুই কোটি টন খাদ্যশস্য আটকে রয়েছে।
ইস্তাম্বুলে গিয়ে রাশিয়ার হয়ে চুক্তিতে সই করেন তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী ওলেকসান্দার কুবরাকভ। এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিশ্বজুড়ে যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে, এ চুক্তির ফলে তা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশিয়া ও ইউক্রেন।
চুক্তি সই নিয়ে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, চুক্তিটি ইউক্রেন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্য রপ্তানির পথ খুলে দেবে এবং দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলো এ থেকে উপকৃত হবে। চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি অনুযায়ী আজ (শনিবার) থেকেই জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব এ চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের খাদ্যশষ্য রপ্তানিতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে ইইউ প্রস্তুত রয়েছে।
বোরেল এমন সময় এ প্রতিক্রিয়া জানালেন যখন পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন সংকটে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও কিয়েভকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। রাশিয়া কিয়েভের প্রতি পাশ্চাত্যের এ সহযোগিতাকে যুদ্ধ বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছে। পার্সটুডে/ এনবিএস/২০২২/একে