ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট এবং লুকোয়েলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এসেছে ঠিক যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পরিকল্পিত বৈঠকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, 'পুতিনের এই অযৌক্তিক যুদ্ধ শেষ করতে অস্বীকৃতি'-ই নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণ। তিনি অভিযোগ করেন, এই তেল কোম্পানিগুলো সরাসরি ক্রেমলিনের 'যুদ্ধ যন্ত্রকে' অর্থায়ন করছে।

ওভাল অফিসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, পুতিন শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সত্যিই আন্তরিক নন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই 'অসাধারণ' নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ শান্তি প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। ট্রাম্প যোগ করেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়, তবে এই নিষেধাজ্ঞা দ্রুতই তুলে নেওয়া সম্ভব।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যও রসনেফট ও লুকোয়েলের ওপর একই রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই দুই কোম্পানি প্রতিদিন প্রায় ৩১ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে, যেখানে রসনেফট একাই রাশিয়ার মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেকের দায়িত্বে রয়েছে। এটি বৈশ্বিক তেল উৎপাদনেরও প্রায় ৬ শতাংশ।

তেল ও গ্যাস রাশিয়ার সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য, যার প্রধান ক্রেতা হিসেবে রয়েছে চীন, ভারত ও তুরস্কের মতো দেশগুলো। ট্রাম্প এই দেশগুলোকেও রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়ানো যায়।

 

news