তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং বলেছেন, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইসরায়েলই তাদের রোল মডেল। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি এর এক নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তাইওয়ান প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। যদিও বেশিরভাগ দেশের মতো ইসরায়েলেরও তাইপেইয়ের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবুও দুই দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ ও পারস্পরিক সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

লাই চিং বলেন,

“ইহুদি জনগণ ইতিহাস জুড়ে বারবার নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তাদের সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাইওয়ানের জনগণ যখনই আন্তর্জাতিক চাপ বা চীনের হুমকির মুখে পড়ে, তখন তারা ইহুদি জাতির সাহস ও স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নেয়।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“তাইওয়ানের মানুষ কখনো হতাশ হয় না। আমরা বিশ্বাস করি—কর্তৃত্ববাদী সরকারকে তুষ্ট করা কখনোই সমাধান নয়। বরং শক্তিশালী প্রতিরক্ষার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ।”

লাই উল্লেখ করেন, এই ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ ধারণাটি শুধু ইসরায়েল নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সমাজেও গভীরভাবে প্রোথিত।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট লাইয়ের এই মন্তব্য চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রভাবের প্রেক্ষিতে তাইওয়ানের কৌশলগত অবস্থান স্পষ্ট করে তুলেছে। ইসরায়েলের মতোই তাইওয়ানও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়িয়ে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

 

news