গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলে দেশটির বিরুদ্ধে আগামী এক দশক কোনো আক্রমণাত্মক অভিযান চালাবে না—এমন অভূতপূর্ব প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

লন্ডনভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই–কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, গত সপ্তাহে মিশরের কায়রোতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো—মিশর, কাতার ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে হামাস। সেখানেই এই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।

ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা জানান, প্রয়োজনে নিজেদের সব অস্ত্র মাটিতে পুঁতে রাখার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও প্রস্তুত হামাস—যদি ইসরায়েল সত্যিই গাজা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়। তার মতে, এটি যুদ্ধবিরতি আলোচনায় “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি”।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর গাজায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। শর্ত অনুযায়ী, হামাস তাদের কাছে জীবিত থাকা সব জিম্মিকে ইসরায়েলের কাছে ফিরিয়ে দেয় এবং মৃত ২৭ জনের মরদেহও ফেরত পাঠানো হয়—একজন বাদে।

বিনিময়ে ইসরায়েল কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় এবং নিজেদের সেনাদের একটি নির্দিষ্ট সীমার ভেতরে পিছু হটায়। তবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি থাকা সত্ত্বেও পুরোপুরি হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত ৬০ দিনে অন্তত ৭৩৮ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।

 

news