ইটালির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর টুইটে ইউক্রেনের ধর্ষিতার ভিডিও, নিন্দায় সরব নেটিজেনরা

 এক ইউক্রেনীয় (Ukarine) মহিলাকে নিগ্রহের ভিডিও প্রকাশ করলেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী জর্জিয়া মেলোনি। ভিডিও প্রকাশ করে দেশের নিরাপত্তার সমালোচনা করেছেন তিনি। কিন্তু অতি দক্ষিণপন্থী নেত্রীর এহেন কাজের নিন্দায় সরব নেটিজেনরা। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনে ফায়দা তুলতেই এহেন পন্থা অবলম্বন করছেন ওই নেত্রী। তাঁর পোস্ট করা ভিডিওর বিষয়বস্তু বেশি মানুষকে আকর্ষণ করবে এবং তার ফলে মেলোনির জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেই নিগ্রহের ভিডিও প্রকাশ করেছেন নেত্রী, এমনটাই দাবি করেছেন নেটিজেনরা।

মেলোনির পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ফাঁকা রাস্তায় এক ইউক্রেনীয় বৃদ্ধার (Ukrainian Video) শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা চলছে। খুব সম্ভবত শরণার্থী হিসাবে ইটালিতে আশ্রয় নিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। বাঁচতে চেয়ে চিৎকার করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। ভিডিওটি কে তুলেছে, তাও অজানাই রয়েছে। স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। মেলোনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতেই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি।

টুইট করে মেলোনি (Italy) লিখেছেন, “দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার এমন দুরবস্থা দেখে আমি চুপ করে থাকতে পারছি না। প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনীয় মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে।” সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “এই মহিলাকে আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। শহরগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য যা কিছু করতে হবে আমি তাই করব।” তবে ইতিমধ্যেই আপত্তিকর বিষয়বস্তু থাকার অভিযোগে ভিডিওটি টুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেলোনির (Italy PM) টুইটের প্রবল নিন্দা করে সরব হয়েছেন তাঁর বিরোধী দলের নেতারা। একজন ধর্ষিতাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছেন মেলোনি, এই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

ইটালির রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট রক্ষণশীল নেত্রী হিসাবেই পরিচিত মেলোনি। বহুবার গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মেলোনি বলেছেন, তিনি গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেবেন, কেউ যেন এমন আশঙ্কা না করেন। তবে নানা সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, ভোটের নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন মেলোনি। তিনি জিতলে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাবে ইটালি। কিন্তু তার আগেই নেতিবাচক কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।সংবাদ প্রতিদিন  /এনবিএস/২০২২/একে

news