ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদে অভিষেক লিজ ট্রাসের, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতর!
মার্গারেট থ্যাচার, টেরেসা মে-র পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে আরও এক মহিলা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসকে (Liz Truss) শপথবাক্য পাঠ করালেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ইতিপূর্বে বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় বিদেশ সচিবের দায়িত্ব সামলেছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির (Conservative Party) নেত্রী। এবার তিনি ব্রিটেনের মসনদে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ হল ইংল্যান্ডের বাইরে।
প্রথা মেনেই এদিন ট্রাস স্কটল্যান্ডের অ্যাবেরডিনশায়ারে বালমোরাল ক্যাসলে ৯৬ বছরের রানির সঙ্গে দেখা করেন লিজ। এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে নতুন সরকার গড়ার আহ্বান জানান বর্ষীয়ান সম্রাজ্ঞী। এখান থেকে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যাবেন লিজ। সেখানেই তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণটি দেবেন। বরিস জনসন আগেই তাঁর ইস্তফাপত্রটি জমা দিয়েছিলেন রানির কাছে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী রানির কাছে প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজের সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াই ছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের। ক্রমশ পিছিয়ে পড়লেও শেষবেলায় কোনও ম্যাজিকের আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষবেলায় কোনও চমক মেলেনি। দলের টোরি সদস্যদের প্রায় ৮১ হাজার ভোটে জনসনের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থ সচিব সুনককে হারিয়ে দিয়েছেন ট্রাস।
লিজের নতুন ক্যাবিনেটের ঘোষণা সম্ভবত বৃহস্পতিবার হতে চলেছে। নয়া ক্যাবিনেটে ঋষি সুনকের থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে তিনি না থাকলেও একমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভেরম্যান ক্যাবিনেটে থাকছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর স্বরাষ্ট্র সচিব হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
উল্লেখ্য, সোমবার জয়ের পর লিজ ট্রাস বলেন, “কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে আমি গর্বিত। আমার প্রতি আস্থা রাখার এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ। কঠিন অবস্থা থেকে সকলকে বের করে আনতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করার কথা দিচ্ছি।” এদিকে হার স্বীকার করে নিয়ে ঋষি বলছেন, “ক্ষমতা অনুযায়ী ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকারকে সহায়তা করব।”সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে