রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা ঠিক করে দিল জি-সেভেন এবং ইইউ
রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এর চেয়ে বেশি দামে কেউ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনলে সেই দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-িসেভেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই দাম বেধে দিয়েছে।
আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এর আগেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল আমদানিতে দাম নির্ধারণের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালো।
আগামী সোমববার থেকে তেলের বেধে দেয়া এই দাম কার্যকর হবে। পরিকল্পনা কার্যকর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। পোল্যান্ড প্রথমে এতে বাধা দিয়েছিল। তারা আরও কম দামে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে চায়। তবে দেশটিকে আশ্বাস দেয়া হয় যে, বাজারমূল্য থেকে রাশিয়ার তেলের দাম সবসময় ৫ শতাংশ কম রাখা হবে। ফলে শুক্রবার দেশটি সম্মতি দেয়।
গত সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেয় জি-সেভেন। মূলত বাজারে তেলের সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং মস্কোকে এ থেকে লাভ করতে না দেয়া- এই দুই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নামে তেলের মূল্যসীমা ঠিক করার এই কৌশল হাতে নেয় পশ্চিমারা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রথমে ৬৫ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে এই দাম রাখতে চেয়েছিল। তবে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়ার মতো কম ধনী দেশগুলো এর বিরোধিতা করে। এরপরই এই দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পোল্যান্ড এই চুক্তিতে সমর্থন করা থেকে বিরত ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তর্ক-বিতর্ক করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে রাশিয়ার তেল বিক্রি থেকে আয় কমানো যাতে মস্কোর যুদ্ধ-সক্ষমতা দুর্বল হয়। এই চুক্তি পশ্চিমা বীমা ও সামুদ্রিক পরিষেবা ব্যবহার করে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি অর্থ দেয়া যাবে না।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে চীন ও ভারতসহ যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে তারা বিপাকে পড়বে। কেননা, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের বেশিরভাগ বীমাকারী প্রতিষ্ঠান ইউরোপ ও ব্রিটেনভিত্তিক। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬৪ ডলার ছিল।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


