টিভিতে ফুটবল বিশ্বকাপে বুঁদ রোগী, এদিকে কাটাছেঁড়া করে অপারেশন করছেন ডাক্তাররা
অস্ত্রোপচার হোক আর যাই হোক, বিশ্বকাপের ( FIFA World Cup ) একটিও ম্যাচ ছাড়া যাবে না। এমন ফুটবল-পাগল রোগীকে নিয়েই মেতে রয়েছে নেট দুনিয়া।
অস্ত্রোপচারের নাম শুনলেই পিলে চমকে যায় অনেকের। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। আর এই রোগীর কোনও তাপ-উত্তাপই নেই। দিব্যি অপারেশন টেবিলে শুয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখে যাচ্ছেন। ডাক্তারবাবুরা কোথায় কাটছেন, কোথায় সেলাই করছেন, সেসব নিয়ে একেবারেই ভাবনাচিন্তা নেই। এমন সাহসী আর ডাকাবুকো রোগীর খবর টুইটারে ভাইরাল হতেই লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
এমন খবরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রাও। রিটুইট করে তিনি বলেছেন, আপনাদের কি মনে হয় না, এই রোগীকেও পুরষ্কার দেওয়া উচিত?
২৫ নভেম্বর ওই রোগীর শরীরের নিম্নাংশে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার আগে স্পাইন অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়নি। অস্ত্রোপচারের সময় সজ্ঞানেই ছিলেন রোগী। আর দিব্যি আনন্দের সঙ্গে খেলাও দেখছিলেন। রোগী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার হোক আর যাই হোক খেলা দেখা ছাড়া যাবে না। তাই তাঁর জন্য বড় টিভির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল অপারেশন রুমে। তন্ময় হয়ে ইরান ও ওয়েলসের ম্যাচ দেখছিলেন তিনি। আর ওদিকে ডাক্তাররা অপারেশনও চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
১০ বছরের বাচ্চার অঙ্ক কষতে হিমশিম, ইংরেজি গ্রামারে ডাহা ফেল করলেন ব্রিটিশ সাংসদরা
ইদানীংকালে এমন ধরনের অস্ত্রোপচার অনেক হচ্ছে। রোগীকে সিনেমা দেখিয়ে, গান শুনিয়ে সার্জারি করছেন ডাক্তাররা। এমনকি ব্রেন সার্জারিতেও রোগীকে সজ্ঞানেই রাখা হচ্ছে। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগীকে অজ্ঞান না করার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যাওয়েক সার্জারি। যেখানে রোগীর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলাকালীন তা সচল রাখতে হয়। মস্তিষ্ক সচল থাকায় তার বিভিন্ন অংশের প্রতিক্রিয়া দেখে অস্ত্রোপচার করতে নাকি অনেক সুবিধা হয় ডাক্তারদের।
খবর দ্য ওয়ালের / এনবিএস/২০২২/একে


