চীনা গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা নেই; ফরাসি গাড়ি আমদানি বন্ধ থাকবে: ইরান

চীন থেকে গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা অস্বীকার করেছে ইরানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।গতকাল (সোমবার) মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে অবশ্য বলা হয়েছে, প্রায় চার বছর পর সম্পূর্ণ প্রস্তুত গাড়ি আমদানি আবার শুরু করা হলেও ফ্রান্স থেকে গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ থাকবে।

পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসি সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এবং এটি প্রকাশ করার সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে আরব দেশগুলোর ইরান বিরোধী বিবৃতিতে চীনেরও অংশগ্রহণ রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এরপর কিছু গণমাধ্যম এ জল্পনা প্রচার করে যে, ইরান চীন থেকে গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে।

এদিকে ইরানের অভ্যন্তরীণ গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধার্থে প্রায় চার বছর আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুত গাড়ি আমদানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহে বিদেশে তৈরি গাড়ি আবার আমদানি হতে শুরু করবে।

ইরানি গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ দেশেই উৎপাদন করলেও কিছু যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে। এর পাশাপাশি চার বছর আগ পর্যন্ত দেশের বাইরে থেকেও তৈরি গাড়ি আমদানি করা যেত।

ইরানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা ২০১৮ সালে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাতে ফ্রান্সের সায় থাকার কারণে দেশটিকে ইরানের গাড়ির বাজারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তবে বিগত চার বছর চীনা গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানে তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফরাসি গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি এগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যেসব বিদেশি কোম্পানি গাড়ি নির্মাণ করে তারাও ইরানের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত ফ্রান্সের বিখ্যাত দুই গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পেজো এবং রেনো ইরানে হাজার হাজার গাড়ি রপ্তানি করেছে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news