পুরুষাঙ্গ ধরে দাঁড়িয়ে যুবক, দু’দিক থেকে আক্রমণ চিতাবাঘের! প্রাচীন গুহাচিত্রের খোঁজ তুরস্কে


দুদিক থেকে এগিয়ে আসছে হিংস্র চিতাবাঘ। তাদের আক্রমণের মুখে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যুবক। ডানহাতে ধরা রয়েছে নিজেরই যৌনাঙ্গ (man holding penis)। সম্প্রতি তুরস্কে খোঁজ মিলেছে প্রায় ১১ হাজার বছরের পুরনো পাথর খোদাই করে করা ভাস্কর্যের (stone carving), যাতে ধরা পড়েছে এমনই অদ্ভুত চিত্র।
দক্ষিণ পশ্চিম তুরস্কের (Turkey) সায়বুর্ক এলাকায় ২০২১ সালে পাথর কুঁদে তৈরি করা বেশ কয়েকটি অতি প্রাচীন ভাস্কর্যের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। তার মধ্যেই রয়েছে চিতাবাঘের সঙ্গে মানুষের এই আশ্চর্য গুহাচিত্র। সম্প্রতি ‘জার্নাল অ্যান্টিকুইটি’ নামে ইস্তানবুলের একটি নৃতত্ত্ব বিষয়ক পত্রিকায় সেই আবিস্কারের গল্প ছাপা হয়েছে। নৃতত্ত্ববিদদের দাবি, আজ থেকে ১১ হাজার বছর আগে যে তুরস্কের ওই অঞ্চলে মানুষ বসবাস করত, এই সমস্ত গুহাচিত্র এবং ভাস্কর্য তার প্রমাণ।
সুপ্রাচীন কিছু বাড়ির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে খোঁজ মিলেছে গুহাচিত্রগুলির, যার মধ্যে দুটি ছবিতে হিংস্র জন্তু এবং মানুষের পারস্পরিক অবস্থানের গল্প বলা হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রীতিমতো দাঁত খিঁচিয়ে দুদিক থেকে তেড়ে আসছে দুটি চিতাবাঘ। আর তাদের মাঝেই নিজের পুরুষাঙ্গ ডানহাতে ধরে আপাত শান্তভাবেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক যুবক।

অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, উবু হয়ে একটি সাপ হাতে ধরে বসে রয়েছেন এক যুবক। সামনে থেকে তেড়ে আসছে একটি ষাঁড়। আপাতদৃষ্টিতে গুহাচিত্র দুটির অর্থ বোঝা না গেলেও নৃতত্ত্ববিদদের মতে, প্রতিটি ছবিই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, গুহাচিত্রে এই ধরনের কাহিনীর বর্ণনা সম্ভবত এই প্রথমবার খুঁজে পাওয়া গেল। 

বিজ্ঞানীদের অনুমান, পাথরে খোদাই করা এই ভাস্কর্য এবং ছবিগুলি নিওলিথিক পিরিয়ডের সময় আঁকা হয়েছে। এই সময়কাল মানবসভ্যতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময়েই মানুষ স্থায়ী বসতি গড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, কৃষিকাজ করে ফসল সঞ্চয় করার চিন্তাভাবনারও সূত্রপাত হয়েছিল এই সময়েই।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news