আর্থিক অনটন: বেতন দিতে ওয়াশিংটনের দূতাবাস ভবনের একাংশ বিক্রি করছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের (Pakistan) আর্থিক দুর্গতি (Financial crisis) এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিদেশে দূতাবাস ভবনের একাংশ বিক্রি করে দিচ্ছে ইসলামাবাদ প্রশাসন।
পাক সংবাদপত্র ডনের খবর অনুযায়ী, ওয়াশিংটনের একটি প্রাসাদোপম ভবন (Washington embassy building) বিক্রিতে ছাড়পত্র দিয়েছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রক। ওই বাড়িটি পাক দূতাবাসের অংশ।
সেখানে দূতাবাসের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বসতেন। এছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজও হত।
কেন দূতাবাস ভবন বিক্রি করতে হচ্ছে পাক প্রশাসনকে? জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটনে দূতাবাস কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে, তাঁদের সময়মতো বেতন দেওয়া যায়নি বিগত কয়েক মাস। ওয়াশিংটনের ওই বাড়িটি বিক্রির জন্য চিহ্নিত করার আগে সেখানকার কর্মীদের অনেককেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হয়েছে। 
পাকিস্তানি টাকায় বাড়িটির অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি টাকা। নিলাম করে এর কয়েকগুন বেশি অর্থ আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত পাকিস্তানের অর্থনীতিতে খুবই টালমাটাল অবস্থা চলছে। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ বেশ কিছু বিদেশি গাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হয়। এছাড়া পাক সরকারের অনেক অফিস-কাছারি এবং অতিথিশালা বিয়ে সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্যকারী সংস্থার কাছে হাত পেতেছে ইসলামাবাদ প্রশাসন। এমনকী, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারেও তৎপর হয়েছে সে দেশের প্রশাসন।
আর্থিক মন্দা চলছিলই। তার উপর মাস কয়েক আগের ভয়াবহ বন্যার কারণে পড়শি দেশের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, পাকিস্তান দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনওদিন গণ অভ্যুত্থান অসম্ভব নয়। ইমরান খানের দলের আন্দোলন ক্রমশ জন বিক্ষোভের চেহারা নিচ্ছে।

 খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news