কাক না ডাইনোসর! চার ডানা, ধারালো নখের প্রাণীর জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া গেল


গায়ের রঙ তেমনই কুচকুচে কালো। তাতে আবার নানা রঙের ছিটে। চার চারটে ডানা, শক্তিশালী পায়ে ধারালো নখ। মাথায় ঝুঁটির মতো আছে। এ হেন প্রাণীকে দেখতে কাকের মতো কিছুটা হলেও প্রজাতিতে একেবারেই আলাদা। এরা হল একরকম ডাইনোসর (Dinosaur fossil) যারা উড়তে পারে। চিল বা বাজপাখির মতো ধারালো নখে বিঁধে শিকার তুলে নিয়ে যেতে পারে অবলীলায়। এমনই এক প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।

 প্রাচীন পৃথিবীর যে জায়গায় এই প্রাণীদের দেখা মিলত, এখন সেটা চিন। ‘জার্নাল অব ভার্টিব্রেট প্যালিওন্টোলজি’ বিজ্ঞাপত্রিকায় এই ধরনের ডাইনোসরদের (Dinosaur fossil ) অস্বিত্বের কথা লিখেছেন একদল প্রত্নতাত্ত্বিক। তাঁরা বলছেন, এই প্রাণীদের বলা হত মাইক্রোর‍্যাপটর (Microraptor)। র‍্যাপটর হল প্রিডেটর বা শিকারি ডাইনোসর যারা অন্য প্রাণীদের মেরে তাদের মাংস খেত। মাইক্রোর‍্যাপটররা আকারে অনেক ছোট। কিন্তু খুব ক্ষুরধার বুদ্ধির শিকারি ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকারে এখনকার কাক বা চিলের থেকে সামান্য বড় হবে। এরা উড়তে পারত আবার মাটিতেও শিকার ধরত। ছোট ডাইনোসর, গিরগিটি বা ওই জাতীয় প্রাণী শিকার করত এরা। বড় শিকারি প্রাণীদের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখত এই ডাইনোসরেরা।

যে ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে তার পেটে খাবারের অস্তিত্বও মিলেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, ছোট প্রাণীর শিকার করেছিল সেই ডাইনোসর। সেই প্রাণীর অস্থিও জমে আছে তার পেটে। সবটাই জীবাশ্ম আকারে পাওয়া গেছে। 
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, ক্রিটেসিয়াস যুগে ডাইনোসরেরা দাপিয়ে বেড়াত পৃথিবীতে। চিনের নানা এলাকাতেও ডাইনোসরের রাজত্ব ছিল। এর আগে আনহুই প্রদেশের কুয়ানসান বেসিন এলাকায় একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া ডাইনোসরের ডিম (Dinosaur Eggs)। একটা, দুটো নয়। শয়ে শয়ে, হাজার হাজার ডিম শক্ত হয়ে পাথরে পরিণত হয়েছিল। সেই পাথরের বিশাল খণ্ড উদ্ধার করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news