করোনায় ছারখার চিনের এই শহর, প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি আক্রান্ত, মৃত্যু বেড়েই চলেছে


 ২০২১ সালে চিনের এই শহরে করোনার (Coronavirus) বিভিন্ন প্রজাতির দাপটে  সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছিল। মূল শহরটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে কিনা সে নিয়ে কথাও উঠেছিল। কিন্তু পরে চিনা সরকার ‘জিরো কোভিড নীতি’ নিয়ে সংক্রমণ মোকাবিলার চেষ্টা করে। দিন পাঁচেক আগেও শি জিনপিং সরকার দাবি করেছিল সাংহাইয়ের কাছে চিনের ঝেজিয়াং-এ কোভিডে কোনও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু পরে জানা গেছে, সংক্রমণের বিস্ফোরণ হয়েছে এই শহরে। প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে।
ঝেজিয়াং-এর জনসংখ্য়া ৬ কোটির বেশি। এই শিল্পশহরে বহু মানুষের আনাগানো লেগেই থাকে। বেসরকারি সূত্র জানাচ্ছে, ১৩ হাজারের বেশি সঙ্কটাপন্ন কোভিড (Coronavirus) রোগীর চিকিৎসা চলছে শহরের হাসপাতালগুলিতে। আইসিইউ-তে ভিড়। তাছাড়া এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে কোভিড রোগী যা পরিসংখ্য়াণে আসেনি। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখের বেশি সংক্রমণ হচ্ছে ঝেজিয়াং-এ। আর এই তথ্য অতি কৌশলে গোপন করছে সরকার।
হিমাচলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল সরকার, বছর শেষে থিকথিক করছে ভিড়

চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা করেছে, কোভিড-সংক্রমণ সংখ্যার মতো কোনও তথ্য তারা আর প্রকাশ করা হবে না। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য চিনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর তরফে জানানো হবে। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত তাও জানানো হয়নি। এদিকে শহরের হাসপাতালের আইসিইউ উপচে যাচ্ছে রোগীতে। শেষকৃত্যের স্থানে মৃতদেহ নিয়ে পরিজনদের লম্বা লাইন। 
চিনের ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ জানিয়েছে, উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই অনেককেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। দেশের কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর সরকার যতই চাপার চেষ্টা করুক না কেন, বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসে যাচ্ছেই। এমনও জানা যাচ্ছে, মর্গে দেহ রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন নতুন বছরে। 
ঝেজিয়াং প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নতুন বছরে এই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়ে যাবে। দিনে ২০ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হবেন, এমন কথাও রটেছে।


খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news