বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে স্বামী, তাও আবার তাঁরই মায়ের সঙ্গে! আদালতের দ্বারস্থ স্ত্রী
৫ বছর ধরে সম্পর্ক। তারপর চার হাত এক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ে ঠিক তিনদিন পর এমন সত্যির মুখোমুখি হলেন নববধূ, যে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। বিয়ের ঠিক পরেই জানা গেল, পরকীয়ায় মজে রয়েছেন বর! তাও আবার পাত্রীর মায়ের সঙ্গে
হতবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia)। তরুণীর নাম নেলিডিয়া। ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর অবশেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেলিডিয়া ও তাঁর প্রেমিক। কিন্তু বিয়ের দিন তিনেকের মাথায় প্রতিবেশীদের থেকে নেলিডিয়া খবর পান, তাঁরই মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক তথা স্বামীর। তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে তাঁরই বাড়িতে দুজনে প্রায়ই ঘনিষ্ঠ হন বলে জানতে পারেন তরুণী।
নেলিডিয়া জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার সময় প্রায়ই মা তাঁকে অভিশাপ দিতেন, অশুভ কামনা করতেন। একবার নাকি ঝগড়ার সময় তাঁর মা বলেছিলেন, ভবিষ্যতে নেলিডিয়ার সন্তান জন্ম নিলে তা যেন মধ্যরাতে হয়, যাতে সমস্যার মুখে পড়তে হয় নেলিডিয়াকে। এমনকি, বিয়ের পরেই তাঁর প্রতি মায়ের আচরণ হুট করে বদলে গিয়েছিল বলে লক্ষ্য করেছিলেন তরুণী। প্রাথমিকভাবে তিনি কিছু বুঝতে পারেননি।
তবে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সবটা জানার পর অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন নেলিডিয়া। তিনি জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখনও ভাল রয়েছে। কিন্তু ঘটনার জেরে তিনি বিধ্বস্ত। স্বামীর উদ্দেশে তিনি জানান, ‘আমি তোমার প্রতারণা মেনে নিয়েছিলাম এবং তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছিলাম, কারণ আমি তোমায় তখনও ভালবাসতাম। কিন্তু তুমি যে শুধু আমাকে ঠকিয়েছ তা নয়। এমন একজনের সঙ্গে মিলে তুমি আমাকে ঠকিয়েছ, যিনি আমার অত্যন্ত কাছের, যাঁকে আমি ভালবাসি। তুমি আমাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছ, আমার ভালবাসা এবং আমার পরিবারও ভেঙে দিয়েছ।’
সূত্রের খবর, ভয়ঙ্কর এই সত্যি সামনে আসার পর নিজেকে সামলে নিয়ে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে যান নেলিডিয়া। বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে দম্পতির। কিন্তু ঘটনার অভিঘাত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি নেলিডিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এই যন্ত্রণা থেকে বের হতে তাঁকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অপরাধ আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার, যার অধীনে সেদেশে বিবাহ বহির্ভূত যৌনতা বর্তমানে দণ্ডনীয় অপরাধ। ফলে এই ঘটনা সামনে আসার পর নেলিডিয়ার স্বামীকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে কিনা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/কে


