মায়ানমারে সু চি’র আরও সাত বছর জেল, কারবাসের মেয়াদ বেড়ে হল ৩৩ বছর

মায়ানমারের (Myanmar) নোবেল জয়ী নেত্রী সু চি’কে (Suu Kyi) আরও সাত বছর জেলের সাজা শোনালো দেশের সামরিক আদালত। দুর্নীতির আরও একটি মামলায় আজ এই সাজা শোনানো হয়।
সু’চি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জেলবন্দি। ওই মাসেই তাঁর নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় ফেরে সামরিক শাসকেরা। এক বছর দশ মাসের কারা জীবনে আগেই ৭৫ বছর বয়সি এই গণতন্ত্রকামী নেত্রীকে ২৬ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে সেনার আদালত। আজ তাতে যোগ হল আরও সাত বছর। এখনও দুর্নীতির আরও দুটি মামলায় তাঁর বিচার চলছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সাজার মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ৩৩ বছর।
মায়ানমারের সেনা শাসকেরা আগামী বছর দেশে ফের নির্বাচন করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখনও দিন তারিখ জানাননি। তবে সু’চির দল ন্যাশনাল ডেমক্র্যাটিক লিগ নিশ্চিত, তাদের নেত্রীকে ভোটে দাঁড়াতে দিতে রাজি নয় সেনা। সেই কারণেই একের পর এক মিথ্যা মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হচ্ছে।
সু’চির বিরুদ্ধে সেনার অভিযোগ, তিনি দেশের কিছু প্রভাবশালী অংশের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভোটে কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সরকার গড়ার পর তাদের তিনি নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের প্রভূত ক্ষতি করেছেন। গত বছরের গোড়ায় তাঁকে জেলে পাঠানো এবং সরকারকে বরখাস্ত করার পর সেনা প্রশাসন প্রথমে এক বছরের মধ্যে নির্বাচন করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ডিক্রি জারি করে মেয়াদ বাড়িয়ে সেনা শাসন দু’ বছরের জন্য নিশ্চিত করা হয়। 
সেই থেকে আন্তর্জাতিক মহল বারে বারে সেনা কর্তাদের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দিলেও তারা তা কানে তোলেনি। গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসংঘে মায়ানমারের সেনা শাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাশ করা হয়। তাতে দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

 খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/কে

news