ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার দশম প্যাকেজ অনুমোদন করেছে ইইউ

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইইউ কর্মকর্তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ অভিযানের বর্ষপূর্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে সুইডিশ ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্সি ব্রাসেলসে এই ঘোষণা দেয়। এবারের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবসায়ের উপর। অর্থাৎ রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আগেই নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তারপরও ব্যবসায়ীরা নানা উপায়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সে পথ বন্ধ করা।

এছাড়াও এর উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধকে রাশিয়ার জন্য জটিল করে তোলা, বিশেষ করে অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবং খুচরো যন্ত্রাংশের কারিগরি সহায়তাকে থামিয়ে দিয়ে।

প্যাকেজটিতে দ্বৈত-ব্যবহারের পণ্য সম্পর্কিত কঠোর রপ্তানি বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থনকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, আক্রমণের সমর্থনে প্রচারণা ছড়ানো এবং ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য রাশিয়ার দ্বারা ব্যবহৃত ড্রোন সরবরাহ করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইইউ প্রেসিডেন্সি টুইটারে ঘোষণা করেছে, ‘ইইউ সদস্য দেশগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের বিজয়ের জন্য এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইইউ ইউক্রেন ও দেশটির জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। যতদিন দরকার হবে আমরা দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাব।’

কিয়েভের অভিযোগ রাশিয়া তাদের শিশুদের আটকে রেখেছে। এজন্য যারা দায়ি এবং পশ্চিমাদের ভাষায় যারা রাশিয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদেরকে কালোতালিকা ভুক্ত করাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। ইরানের ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেও কালোতালিকায় নেওয়া হচ্ছে। এসব ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম সারিতে ব্যবহার হচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার ব্যাংকও। গ্লোবাল সিস্টেমে সুইফটের (এসডব্লিউআইএফটি) মাধ্যমে পরিচালিত অনলাইন ব্যাংকিং টিনঅফ এবং প্রাইভেট আলফা-ব্যাংকও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। ইইউ নির্বাহী বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ইইউ ও রাশিয়ার মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে।’

এনবিএস/ওডে/সি

news