ঢাকা, শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের প্রতি অবিচার করা হয়েছে 


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৯ মে, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম

জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের প্রতি অবিচার করা হয়েছে 

জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের প্রতি অবিচার করা হয়েছে 

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ডা. ফারুক আব্দুল্লাহ নির্বাচনী সীমানা পুনর্বিন্যাসে ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যেকোন ধরনের চালাকি বাস্তব পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে না, বিশেষ করে সীমানা পুনর্বিন্যাস কমিশনের সাহায্যে একেবারেই নয়।

 রোববার হিন্দি গণমাধ্যম ‘দৈনিক ভাস্কর’ সূত্রে প্রকাশ, তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না যারা এই অঞ্চলের মূল্যবান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এবং মর্যাদা লুঠ করেছে। বর্তমান সরকারের খারাপ নীতিগুলোতে জনগণ ক্ষুব্ধ। জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ অবশ্যই বিজেপি এবং তার সহযোগীদের শাস্তি দেবে। 

জম্মু-কাশ্মীর ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলোর যুক্তফ্রন্ট। এরমধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং সিপিআই(এম) ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন। তারা এটাকে অত্যন্ত আপত্তিকর, পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কমিশন বাস্তবতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।

ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট প্রসঙ্গে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহেবুবা মুফতি বলেন, পুনর্বিন্যাস কী? এটা কী এখন শুধুই বিজেপির সম্প্রসারণে পরিণত হয়ে গেছে? যেখানে এবার জনসংখ্যার ভিত্তিকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং এটি কেবল তাদের ইচ্ছায় কাজ করছে। আমরা একে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা এটা বিশ্বাস করি না। এটা শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সাথে সম্পর্কিত যে কীভাবে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে দুর্বল করা যায় ডিলিমিটেশন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চলটিতে আসন সংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করার প্রস্তাব করেছে। এরমধ্যে ৪৩টি আসন হবে জম্মুতে এবং ৪৭টি আসন কাশ্মীরে। এ ছাড়াও,  এই প্রথমবারের মতো ৯টি আসন ‘তফসিলি উপজাতি’দের জন্য সংরক্ষিত রাখতে বলা হয়েছে। এরআগে, ৮৩টি আসনের মধ্যে ৩৭টি জম্মুতে এবং ৪৬টি কাশ্মীরে ছিল। 

জম্মু-কাশ্মীরে মোট জনসংখ্যার ৭.৩৮ শতাংশ তফসিলি জাতির অন্তর্গত। তাদের জন্য রাখা হয়েছে ৯টি আসন। জম্মু অঞ্চলে মুসলিমদের মধ্যে কোনো তফসিলি জাতি নেই, সেজন্য শুধুমাত্র হিন্দুরাই ওই আসনগুলো পাবে।