ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

লালগোলায় চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি মান্থার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:০২ পিএম

লালগোলায় চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি মান্থার

লালগোলায় চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি মান্থার

 মুর্শিদাবাদের লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। সোমবার এমনই দাবি করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সিবিআই কেন সুইসাইড নোটে নাম থাকা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত নিয়োগ দুর্নীতি। নেপথ্যে থাকতে পারে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। আবদুরের সুইসাইড নোটে দিবাকর কনুই নামে এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ ছিল। পুলিশ তাকে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তারও করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না?”

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা আবদুর রহমান, এসএসসি গ্রুপ-ডি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, সেই সময় এক দালাল যুবককে জানায়, পরীক্ষা না দিলেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু তার জন্য ৬ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ওই যুবকের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। কোনওরকম ২ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দালালকে দেন আবদুর। এরপর সময় পেরিয়েছে কিন্তু চাকরি পাননি ওই যুবক। গত সেপ্টেম্বরে বাড়ি থেকে আবদুরের দেহ উদ্ধার হয়। ৯ পাতার সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, মানসিক হতাশায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন।

এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন মৃতের পরিবারের লোকজন। পুলিশ চার্জশিটে নিহত আবদুর রহমানকেই অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতিই সিবিআই তদন্তের দাবি জানান নিহতের পরিবারের লোকজন। সেই অনুযায়ী গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২৩/একে