এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৯ মে, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম
সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে পাক আইএসপিআর’এর বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
রাজনৈতিক বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তার নেতৃত্বকে টেনে আনার বিরুদ্ধে পাক আইএসপিআর সতর্ক করে বলেছে যে অনুশীলনটি ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’। দেশটির আইএসপিআর’এর ডিজি মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন, সম্প্রতি দেশে চলমান রাজনৈতিক আলোচনায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের নেতৃত্বকে টেনে আনার তীব্র এবং ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টাগুলি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ, সূক্ষ্ম রেফারেন্সের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, যা কিছু রাজনৈতিক নেতা, কয়েকজন সাংবাদিক এবং বিশ্লেষক পাবলিক ফোরামে এবং সামাজিক মিডিয়া সহ বিভিন্ন যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে করেছেন।
জেনারেল বাবর বলেন, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের বেআইনি এবং অনৈতিক অনুশীলনের কঠোর ব্যতিক্রম গ্রহণ করে এবং আশা করে যে সকলে আইন মেনে চলবে এবং দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীকে রাজনৈতিক আলোচনা থেকে দূরে রাখবে।
তবে জেনারেল বাবরের এধরনের বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তির্যক মন্তব্য করেছে। আনিসা বিনতে সাদিক বলেন, কেউ সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনেনি। সেনাবাহিনীর জেনারেলরাই নিজেদের রাজনীতিতে জড়িত করেছেন। বরং তাদের রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখা উচিত ছিল।
ভিজিল আন্টি নামে আরেকজন মন্তব্য করে বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষ এটাই বলে আসছে। সেনাবাহিনীকে বেসামরিক বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে। জনসাধারণের অনুভূতিকে তুষ্ট করার জন্য মুখে জেনারেলরা এমন বলেন। সেনাবাহিনী শুধু রাজনীতি নয়, অর্থনীতিতেও একটি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে।
ওয়াজাহাত আফজাল বলেন, কি কৌতুক, দেখুন কে এসব বলছেন! আদতে এসব হচ্ছে, শাসন পরিবর্তনের অভিযান থেকে ক্ষমতায় আসা অপরাধীদের যাত্রা।
আব্দুর রেহমান খান জাদুন বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ১৯৪৭ সাল থেকে বেসামরিক ব্যক্তির চেয়ে জেনারেলরাই পাকিস্তান শাসন করেছে বেশি। এবং যে কোনো সরকার ক্ষমতায় আসার পর সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদ নিয়েই থাকতে হচ্ছে। কারণ কেউ সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনেনি। জেনারেলরাই এটা করেছে।