ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

স্লিপিং বিউটি! সারাদিনে ২২ ঘণ্টা ঘুম, জাগলেই হ্যালুসিনেশন হয়, কেন এমন হচ্ছে তরুণীর?


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৩ মার্চ, ২০২৩, ০৬:০৩ পিএম

স্লিপিং বিউটি! সারাদিনে ২২ ঘণ্টা ঘুম, জাগলেই হ্যালুসিনেশন হয়, কেন এমন হচ্ছে তরুণীর?

স্লিপিং বিউটি! সারাদিনে ২২ ঘণ্টা ঘুম, জাগলেই হ্যালুসিনেশন হয়, কেন এমন হচ্ছে তরুণীর?

 ঘুম যেন আর ভাঙতেই চায় না। ঘুমের মধ্যেই অন্য জগতে চলে যান তরুণী। কেউ ডেকে না দিলে সে ঘুম নিজে থেকে ভাঙতে চায় না। সারাদিনে ২২ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটে। ঘুম (Sleeping) ভাঙলেই গায়ে কাঁটা দেয়, কখনও মনে হয় হাজার হাজার মাকড়সা হেঁটে বেড়াচ্ছে সর্বাঙ্গে। কী হয়েছে তরুণীর?
ব্রিটেনের বাসিন্দা জোয়ান্না কক্স নামের এক মহিলা দিনে ২২ ঘণ্টা ঘুমোন। এমনকী তিনি সপ্তাহে চারদিন ঘুম থেকে উঠেছেন এমন ঘটনাও হয়েছে৷ সায়েন্স ম্যাগাজিনে ওই মহিলাকে ‘রিয়েল লাইফ স্লিপিং বিউটি’ বলা হয়েছে।
ঘুম মানেই আরাম। সারাদিনের পরিশ্রমের পরে গা এলিয়ে দিলেই নিশ্চিন্তের ঘুম নেমে আসে দু’চোখে। যাঁদের ঘুম কম হয়, তাঁরা রীতিমতো ওষুধ খেয়ে, মেডিটেশন করে ঘুমোনোর চেষ্টা করেন। শরীর তরতাজা রাখতে মন ও মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম দরকার। সে জন্যই ঘুম। ঘুম না হলেই বরং বিপদ। শরীর ভাঙবে, নানা অসুখ জাঁকিয়ে বসবে, স্ট্রেস-অবসাদ মনকে ফালা ফালা করে দেবে।

কিন্তু ব্রিটেনের ওই তরুণীর কাছে ঘুম মানেই আতঙ্ক। ঘুমোতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু না ঘুমিয়েও উপায় নেই। সারাদিন শরীরজুড়ে ক্লান্তি, সবসময়েই যেন দু’চোখের পাতা ভারী হয়ে আসছে তাঁর। জোয়ান্না জানেন, এ ঘুম নয়, কালঘুম। একবার ঘুমোলে নিজে থেকে জাগতেই পারবেন না। কখনও যদি আর ঘুম না ভাঙে, এই চিন্তাও মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে হ্যালুসিনেশনের আতঙ্কও আছে। ঘুমের মধ্য়েই স্লিপিং প্যারালাইসিস হয়, গায়ে কাঁটা দেয়, ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন আসে। চোখ মেললে মনে হয় সারা শরীরে কীট-পতঙ্গ হেঁটে বেড়াচ্ছে। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণী যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার নাম চিকিৎসার পরিভাষায় ইডিওপ্যাথিক হাইপারসমনিয়া ( idiopathic hypersomnia)। এই অতিরিক্ত ঘুম এক ধরনের অসুখ। মস্তিষ্কের হতে পারে, আবার মনেরও হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর অনেক ধরন। এমনিতে সাধারণ মানুষের টানা সাত থেকে আট ঘণ্টা নিশ্ছিদ্র ঘুম দরকার। আর যদি অতিরিক্ত ঘুম হয়? তাহলে গণ্ডগোল। ঘুম না এলেও যেমন সমস্যা, তেমনিই বেশি এলেও সমস্যা—এই দুইই হয় স্লিপিং ডিসঅর্ডারের জন্য। যার শরীরে যেমন অস্বস্তি তার রোগের ধরনও তেমন। টানা ১৫ ঘণ্টার বেশি বা ২৪ ঘণ্টা একটানা ঘুম মানে সেটা হাইপারসমনিয়ার (Hypersomnia) লক্ষণ।
হাড়ের ক্ষয় রোগ হচ্ছে কমবয়সিদেরও, সুস্থ থাকতে কী করবেন
হাইপারসমনিয়া হল নিউরোলজিক্যাল স্লিপিং ডিসঅর্ডার। হাইপারসমনিয়া হলে দিনের বেলাতেও জেগে থাকা বেশ কষ্টসাধ্য। চোখের পাতা সবসময়েই ভারী হয়ে আসে। সারাদিনের বেশিটা সময়েই ঘুমোতে ইচ্ছে করে। এই হারপারসমনিয়া নানা কারণে হতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে, কিডনির অসুখ হলে, মাথায় কোনওরকম আঘাত লাগলে তার থেকেও হতে পারে। আবার অতিরিক্ত মদ্যপান, ওবেসিটি, অবসাদ থাকলে তার থেকেও হাইপারসমনিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩/একে