ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে ১০টি ‘ফ্রিডম সিটি’ ও ফ্লাইং গাড়ি চালু করবেন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৪ মার্চ, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম

ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে ১০টি ‘ফ্রিডম সিটি’ ও ফ্লাইং গাড়ি চালু করবেন

 ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে ১০টি ‘ফ্রিডম সিটি’ ও ফ্লাইং গাড়ি চালু করবেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অনুন্নত এলাকায় ওয়াশিংটন ডিসি আয়তনের সমান ১০টি নতুন শহর গড়ে তুলবেন। এগুলো পরিচিতি পাবে ‘ফ্রিডম সিটি’ হিসেবে। এছাড়া তিনি ‘ফ্লাইং কার’ চালু করবেন। এসব শহর ও মার্কিন নাগরিকদের জন্যে নতুন ভবিষ্যত তৈরি করবে বলে ট্রাম্প মনে করেন।

ট্রাম্প বলেন, যাত্রীরা ভবিষ্যতে উড়ন্ত গাড়িতে ঘুরে বেড়াতে পারে সে ব্যবস্থাই করব। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে ‘ফ্লাইং কার’ চালুর প্রকল্প বাস্তাবায়নে কাজ চলছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আমেরিকা, চীন নয়, বায়ু গতিশীলতায় এই বিপ্লবের নেতৃত্ব দেয় আমেরিকা। ওয়াশিংটন, ডিসি’তে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার আগের দিন চার মিনিটের একটি ভিডিওতে ট্রাম্প আরো বলেন, আমরা আসলে আমাদের দেশে আবার নতুন শহর গড়ে তুলব। এই শহরগুলি সীমান্তকে আবার খুলবে, আমেরিকার কল্পনাকে পুনরুজ্জীবিত করবে এবং কয়েক হাজার তরুণ এবং অন্যান্য মানুষকে, সমস্ত পরিশ্রমী পরিবার, বাড়ির মালিকানায় একটি নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেবে। এবং প্রকৃতপক্ষে এটাই আমেরিকান স্বপ্ন।

ট্রাম্পের এধরনের প্রস্তাব তার প্রথম দিকের নীতি দেওয়া প্রস্তাবের একটি সিরিজের মধ্যে সর্বশেষতম, এর আগে তিনি দেশীয় শক্তি উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। এছাড়া বিচ্ছিন্ন বিদেশী নীতি অবলম্বন করবেন এবং সরকার ও সেনাবাহিনীকে ‘যুদ্ধবাজ এবং বিশ্ববাদীদের থেকে মুক্ত করবেন’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলিকে তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জমা দেওয়া উচিত। তবে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনায় অর্থের উৎস কি হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এফডব্লিউডি বন্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্রিস রুপকি বলেন নির্মাতারা স্বপ্ন তৈরি করে এবং বাস্তবে পরিণত করে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ৩১ ট্রিলিয়নের বেশি এবং ট্রাম্পের এধরনের বিশাল নতুন প্রকল্প গ্রহণের সামর্থ্য রাখে না। আমেরিকানরা এখন ‘কস্ট অফ লিভিং ক্রাইসিস’ মধ্যে রয়েছে।

এনবিএস/ওডে/সি