ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা হচ্ছে মসজিদ- মাজার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৫ মার্চ, ২০২৩, ১০:০৩ পিএম

উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা হচ্ছে মসজিদ- মাজার

উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা হচ্ছে মসজিদ- মাজার

ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে শাহজাহানপুরে আসন্ন হোলি উৎসবের  শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নগরীর ৬৭টি মসজিদ ও মাজারকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। 

ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে শাহজাহানপুরে আসন্ন হোলি উৎসবের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নগরীর ৬৭টি মসজিদ ও মাজারকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। 

সম্ভলে ৮টি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের গায়ে হোলির রং না পড়ে। প্রত্যেক বছর হোলি উৎসবে শাহজাহানপুর এলাকায় দু’টি শোভাযাত্রা বের হয়। এটি লাট সাহেবের শোভাযাত্রা নামে পরিচিত। এ সময় উভয় শোভাযাত্রার রুটের  মধ্যে থাকা ৬৭টি মসজিদ ও মাজারকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, যাতে কেউ ধর্মীয় স্থানে রং নিক্ষেপ করে পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে। মিশ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে শোভাযাত্রায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য প্রশাসনকে এখানে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়। এখানে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে মিছিলের ওপর নজরদারি করা হয়।

মসজিদ-মাজার ঢেকে দেওয়ার বিরোধিতা করে শাহজাহানপুর শহরের ইমাম হুজুর আহমেদ মঞ্জরী বলেন, ‘মসজিদ ও মাজার ঢেকে রাখা ঠিক নয়। এটি ঢেকে রাখলে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয় এবং মুসলিম সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে। প্রায় চার/পাঁচ বছর আগে মিছিলের পরপরই ত্রিপল সরিয়ে ফেলা হবে বলে ধর্মীয়স্থানগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন এটাকে ঐতিহ্যে পরিণত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিপল দিয়ে না ঢেকে দিয়ে প্রশাসনের উচিত সর্বাধিক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা এবং পরিবেশ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

অন্যদিকে, মাওলানা কাসিম রাজা খান বলেন, ধর্মীয়স্থান ঢেকে রাখার প্রচলন বেশি দিনের নয়। ধর্মীয়স্থান ঢেকে রাখা একেবারেই ভুল। এরফলে বিশ্বে ভুল বার্তা যায়। ধর্মীয় স্থান ঢেকে রাখতে আপত্তি আছে। প্রায় একসপ্তাহ আগে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন তাতে দৃষ্টিপাত করে না। ধর্মীয় স্থান ঢেকে দেওয়ায় শহরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়।’

অন্যদিকে, শাহজাহানপুরের সিটি ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমার সিং বলেন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে যাতে আঘাত না লাগে সেজন্য ধর্মীয়স্থানগুলো ঢেকে রাখা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে পৌর কর্পোরেশন টিমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শোভাযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলেও মন্তব্য করেন সিটি ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমার সিং।  
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে