এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১২ মার্চ, ২০২৩, ০৬:০৩ পিএম
ইরান-সৌদি সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল নাখোশ
আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া প্রতিবেশী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতির নিয়ম অনুযায়ী এটিকে স্বাগত জানানোটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
সাত বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুন-স্থাপনে রাজী দেশ দু’টির পদক্ষেপকে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিভিন্ন দেশের নেতারা বিবৃতি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ব্যতিক্রম ছিল দুটি দেশের প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে দুটি দেশই ইরানকে চরম বৈরি হিসেবে দেখে, ইরানও এই দুটি দেশকে তাদের দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য এক নম্বর হুমকি বলে মনে করে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তকে ‘সতর্ক ভাষায়’ স্বাগত জানালেও এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন এটি টিকবে কিনা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন,“ইরান তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করবে কিনা, সেটা দেখতে হবে।” যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া যাই হোক, বেশিরভাগ বিশ্লেষকের ধারণা, চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে এই সমঝোতা ওয়াশিংটনে মারাত্মক অস্বস্তি তৈরি করেছে।
ইসরায়েল অবশ্য প্রকাশ্যে কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানায়নি। কিন্তু ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট: তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে এই সমঝোতা তাদের মোটেই খুশি করেনি।
এনবিএস/ওডে/সি