এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৫ মার্চ, ২০২৩, ১০:০৩ পিএম
রাশিয়ার ভূখণ্ডের কাছে মার্কিন ড্রোনের কাজটা কি?
কৃষ্ণ সাগরের আকাশসীমা থেকে মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার গোয়েন্দা ড্রোন ভূপতিত করার ঘটনায় আমেরিকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতলি অ্যান্তোনভ মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডের কাছে আমেরিকার ড্রোনের কাজ কি। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরের আকাশে আমেরিকার ড্রোনের উপস্থিতি হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে চলমান পরিস্থিতিতে উস্কানি সৃষ্টি।
গতকাল (মঙ্গলবার) কৃষ্ণসাগরের আকাশ থেকে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। রুশ রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকার করেন ইউরোপ ও ইউরেশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন ডনফ্রাইডের সঙ্গে। মার্কিন এ সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্রোন ভূপাতিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রাশিয়া এক্ষেত্রে খুবই অনিরাপদ এবং অপেশাদার কাজ করেছে।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, "আমরা মনে করি এই ঘটনা উস্কানিমূলক। আমি ডনফ্রাইডকে বলেছি যে, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে আমেরিকার ড্রোন, বিমান এবং জাহাজের উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই।" তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, “নিউইয়র্ক কিংবা স্যান ফ্রান্সিকোর কাছে যদি রাশিয়ার কোনো ড্রোন এভাবে আসতো তাহলে পেন্টাগন এবং মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া কী হতো তা কি আপনারা কল্পনা করতে পারেন?”
অ্যান্তোনভ বলেন, ডনফ্রাইডের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং দু পক্ষই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পূর্ব ইউরোপের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও আমেরিকা দু দেশকেই সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি ডনফ্রাইডকে আরো বলেন, মস্কো ওয়াশিংটনের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক চায়, সংঘাত চায় না।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, রাশিয়ার দুটি এসইউ ২৭ যুদ্ধবিমান গতকাল কৃষ্ণ সাগরের আকাশে মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনকে বিপজ্জনকভাবে আঘাত করে এবং ড্রোনের ওপর জ্বালানি তেল ঢেলে দেয়। এক পর্যায়ে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
আমেরিকা দাবি করছে ড্রোনটি শান্তিপূর্ণভাবে কৃষ্ণ সাগরের আন্তর্জাতিক সীমানায় গোয়েন্দা মিশন পরিচালনা করছিল। কিন্তু অ্যান্তোনভ জানিয়েছেন, আমেরিকার এমকিউ-৯ ড্রোন কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা বহন করতে সক্ষম।
আমেরিকা যদিও বারবার দাবি করছে তারা চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো পক্ষ নয় কিন্তু গত এক বছর ধরে তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডের কাছে ড্রোন এবং গোয়েন্দা বিমানের সাহায্যে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে আসছে এবং তারা রাশিয়ার অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে তথ্য সরবরাহ করছে।
খবর পার্সটুডেে/এনবিএস/২০২৩/একে