এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-পশ্চিম উপকূল ধ্বংস করতে পারে: চীন
চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ৩৩ মিনিটের মধ্যে আঘাত হানতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দূরত্ব অনেক। কিন্তু এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নাকি শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম। আধ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। দি ওয়াল
নিউক্লিয়ার নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক তিয়ানরান জু সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে। পিয়ংইয়ংয়ের এই ক্ষেপনাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে এই ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করলে তা গোটা যুক্তরাষ্ট্রেই ধ্বংসলীলা শুরু করবে। বেইজিং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং এই যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণ করে কিছু পরীক্ষা চালিয়েছে। তাতেই বোঝা গেছে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের ক্ষমতা কতটা।
চীন বলেছে, উত্তর কোরিয়ার মধ্যভাগ থেকে যদি এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয় তাহলে ২০ মিনিট পরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপনাস্ত্র হেডকোয়ার্টারে অ্যালার্ট যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা সক্রিয় হবে। উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া ক্ষেপনাস্ত হানা ব্যর্থ করতে আলাস্কার ফোর্ট গ্রিলি থেক ১১ মিনিটের মধ্যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ শুরু করবে। যদি তা ব্যর্থ হয়, তখন ক্যালিফোর্নিয়ার ভানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা কাজ করবে।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে যতই যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া বৈঠক হোক, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় বিরাম নেই কিমের দেশের। গত বছর মার্চে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া, সেটা আবার প্রকাশ্যে এনেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যম। আর এবার তো সব সীমাই নাকি ছাড়িয়ে গিয়েছে কিম জঙ উনের দেশ। এমন ক্ষেপনাস্ত্র বানিয়েছে উত্তর কোরিয়া যা মাত্র ৩৩ মিনিটের মধ্যে সুপারসনিক বেগে ছুটে গিয়ে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে ভয়ঙ্করভাবে আঘাত করতে পারে।
এর আগে পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে উদ্বেগ বাড়িয়েছিলেন কিম। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ জানিয়েছিল, পরমাণু হামলার ক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে।
এনবিএস/ওডে/সি