এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম
মাহি একজন লক্ষী মেয়ে, ভালো মানুষ: শাওন
অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ও অনুভূতি জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন অভিনেত্রী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বলেছেন, মাহি একজন লক্ষী মেয়ে, ভালো মানুষ।
১৮ মার্চ (শনিবার) ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে একথা বলেন শাওন। তিনি লেখেন, ‘মাহিয়া মাহিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘কৃষ্ণপক্ষ’তে কাজ করার সময় প্রায় এক মাস দিন রাত একসঙ্গে থেকেছি। শুটিং স্পটে দীর্ঘসময় একসঙ্গে থাকলে মানুষের দোষ গুণ মোটামুটি ৯০ ভাগ জানা হয়ে যায়। সেই জানা থেকে বলছি- মাহি একজন লক্ষী মেয়ে, ভালো মানুষ। আমি কখনও তাকে সহকর্মীদের নিয়ে রসালো আলাপ কিংবা বদনাম করতে দেখিনি। বরং শুটিং স্পটের সবশ্রেনীর কলাকুশলিদের সাথে যথাযথ সম্মান দিয়েই কথা বলতে দেখেছি।’
তিনি লেখেন, ‘আজ শুনলাম মাহি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে তার গ্রেপ্তারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করছে! আর সেই ছবির নিচে মন্তব্যকারীদের রুচির স্তর সম্বন্ধে তো বলে শেষ করা যাবে না! (যদিও সেলিব্রেটিদের ছবিতে কুৎসিত মন্তব্য, মিথ্যা অপবাদ কিংবা অসম্মানের হুমকির জন্য কোনো নিরাপত্তা আইন নেই!)’
অন্তঃসত্ত্বা মাহিকে রিমান্ডে নেয়ার উদ্যোগ ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শাওন আরও লেখেন, ‘মাহিয়া মাহি যদি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় করে থাকেন অবশ্যই তার তদন্ত চলুক। তবে একজন আটমাসের গর্ভবতী মাকে কারাগারে প্রেরণ কিংবা তার জন্য রিমান্ডের আবেদন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইন রক্ষাকারী এবং প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে অন্তঃসত্ত্বা মাহি ও তার অনাগত সন্তানের প্রতি ন্যায়সংগত ও সংবেদনশীল আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে (সিএমএম) পাঠানো হয়। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার তাদের গাড়ির শোরুম দখলের অভিযোগ তোলেন। যেখানে অভিযুক্ত করা হয় গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুলকে। এরপর শুক্রবার রাতে গাজীপুরের বাসন থানার এসআই রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এনবিএস/ওডে/সি