এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৪ মার্চ, ২০২৩, ১১:০৩ পিএম
সিরিয়ায় ইরানি ড্রোন হামলায় মার্কিন ঠিকাদার নিহত
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন কর্মীদের থাকার একটি স্থাপনায় ইরানের একটি সন্দেহভাজন ড্রোন হামলার পর একজন মার্কিন ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরেক মার্কিন ঠিকাদার ও ৫ মার্কিন সেনা আহত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বলছে হামলাকারী ড্রোনটি ইরানের। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর সাথে যুক্ত গোষ্ঠীগুলির দ্বারা ব্যবহৃত সুবিধাগুলির বিরুদ্ধে পূর্ব সিরিয়ায় একটি নির্ভুল বিমান হামলার অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি এক বিবৃতিতে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।
বাইডেন আরো বলেন, আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেব, সর্বদা আমাদের পছন্দের সময় এবং জায়গায় প্রতিক্রিয়া জানাব।
এদিকে ইসরায়েল সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশকে বলেছে যে তেহরান যদি ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তবে তারা ইরানের উপর সামরিক হামলা চালাতে পারে।
ইসরায়েলের সিনিয়র কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে, মার্কিন মিডিয়া বুধবার জানিয়েছে যে ইসরায়েল ৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে ‘লাল রেখা’ হিসাবে সেট করতে চায় না কারণ ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় স্তরের সামান্য নীচে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং মজুদ শুরু করতে পারে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার একটি প্রতিবেদনের হিসাবে সর্বশেষ এসেছে যে ইরান ৮৩.৭% বিশুদ্ধতা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কণার একটি ছোট পরিমাণ উৎপাদন করেছে। একটি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ইউরেনিয়াম ৯০% সমৃদ্ধ করতে হবে।
ইরান অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে তার পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার করছে শান্তিপূর্ণ কাজ ও গবেষণা। প্রকৃতপক্ষে, ২০১০ সালে একটি ফতোয়া জারি করে ইরানে পারমাণবিক অস্ত্র এবং যে কোনও গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিষিদ্ধ করেছে কারণ দেশটি মনে করে এধরনের অস্ত্র ব্যবহার মানবতার জন্য গুরুতর হুমকি।
এনবিএস/ওডে/সি