ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ধন্যবাদ জানালেন মোদীকে! কেন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৪ মে, ২০২২, ০১:০৫ পিএম

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ধন্যবাদ জানালেন মোদীকে! কেন

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ধন্যবাদ জানালেন মোদীকে! কেন

 চলতি অর্থসঙ্কটের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন প্রবীণ রাজীতিবিদ রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে ( Ranil Wickremesinghe)। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিবেশী এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির মানুষ তাকিয়ে আছেন ৭৬ বছর বয়সি এই মানুষটার দিকে। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই তিনি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কিন্তু কেন? কূটনৈতিক মহলের কথায়, ভারতের সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক ছিল রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের ( Ranil Wickremesinghe)। আগে চার বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন তিনি। যদিও কোনও বারই পুরো মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। তবুও এই বর্ষীয়ান নেতার ওপরই এই সঙ্কটকালে আস্থা রাখল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)।

বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ভারতকে ও নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। কারণ ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই কথা স্মরণ করেই রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে বলেন, ” আমি ভারত সরকারের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

উল্লেখ্য, ভারত চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ঋণ, ক্রেডিট লাইন এবং ক্রেডিট অদলবদলের ক্ষেত্রে ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কাকে ৩ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমনকি বৃহস্পতিবারই ভারতের তরফেও জানানো হয়, শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারত উন্মুখ হয়ে আছে। পাশাপাশি আরও বলা হয় নয়াদিল্লির প্রতিশ্রুতি অব্যহত থাকবে।

পদত্যাগ করার সময় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে জানিয়েছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীকে গদিতে বসাবেন। সেই মতই ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সাংসদ রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। তিনিই সংসদে তাঁর দলের একমাত্র সাংসদ।

দেশের মধ্যে গণ বিরোধিতার মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধান বিরোধী দল সরকার গঠনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। এই কঠিন পরিস্থিতির ঝুঁকি তারা নিতে চায়নি। বা রাজাপক্ষে যে গণ্ডগোল পাকিয়ে রেখেছেন তার দায়ও নিতে চায়নি। ফলে বিকল্প বলতে পড়ে ছিল কেবল রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের নাম।

শপথ নেওয়ার পর তিনি জানান, তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য হবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক করা। তিনিই বলেন, ” জনগণের কাছে পেট্রল, ডিজেল, এবং বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই।” স্বাধীনতার পর থেকে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বেশি আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে বিগত কয়েক মাসে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে পড়েন। বিক্ষোভ দেখান। প্রধানমন্ত্রীর ভবন ঘেরাও করেন। এমনকি রাজাপক্ষের নিজের দলের মন্ত্রী ও সাংসদরাও পদত্যাগ করেন। পরে নিজের পদ থেকে সরে যেতে হয় রাজাপক্ষকেও।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে