ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের মহড়া: সংযমের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৯ এপ্রিল, ২০২৩, ১২:০৪ পিএম

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের মহড়া: সংযমের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

 তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের মহড়া: সংযমের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

তাইওয়ানকে ঘেরাও করার ৩ দিনের যে বিরাট সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন আজ তার দ্বিতীয় দিন। অনেক যুদ্ধজাহাজ ও ৭১টি জঙ্গী বিমান তাইওয়ান প্রণালীতে এ মহড়া চালাচ্ছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠক করার কারণে ক্ষুব্ধ চীন এ মহড়া শুরু করেছে। বেইজিং সাইয়ের সঙ্গে ম্যাককার্থির উস্কানিমুলক বৈঠকের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল। এ মহড়া নিয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, অঞ্চলটিতে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পূরণে তার দেশ প্রস্তত রয়েছে। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ চ্যানেল চালু রয়েছে। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা চীনকে সংযম প্রদর্শন এবং যে অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে তাতে কোনো ধরণের পরিবর্তন না আনার আহ্বান জানিয়েছি।’

তাইওয়ান সরকার শনিবার জানায়, চীনের ৪২টি যুদ্ধবিমান ও ৮টি যুদ্ধজাহার তাইওয়ান প্রণালী বিভক্তি রেখা অতিক্রম করেছে। এ রেখাকে চীন ও তাইওয়ানের অঘোষিত সীমান্ত বলে মনে করা হয়। চীন তাইয়ানকে তার নিজস্ব ভূখন্ড বলে মনে করে। তবে তাইওয়ান তা মানে না। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চীনের অনুপ্রবেশকে ‘অযৌক্তিক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষায় সামরিক পদক্ষেপ নেবে কিনা সে ব্যাপারে এ মুখপাত্র কিছু বলেননি। তবে চীনের স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র বহু দশক ধরে অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করছে। এ ছাড়া জাপানসহ অঞ্চলটিতে অবস্থিত মিত্র দেশগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় চুক্তিবদ্ধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত আগষ্টে তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক মহড়ার প্রভাব জাপানেও পড়েছিল।

চীনের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ক্যালিফোর্নিয়ায ম্যাককার্থির স্েঙ্গ সাইয়ের বৈঠকের প্রতিক্রিয়া হলো এ মহড়া। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছে। ওয়াশিংটন বলেছে, তাদের স্পিকার কোথায় যাবে বা যাবে না কিংবা কার সঙ্গে কথা বলবেন না তার নির্দেশ চীন করতে পারে না। ম্যাককার্থি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি হলাম পার্লামেন্টের স্পিকার, কোথায় আমি যাবো, আর কার সঙ্গে কথা বলতে পারবো তার নির্দেশনা দেয়ার কোন এখতিয়ার চীনের নেই।’ ইউরোপীয় কমিশনও এ মহড়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযম প্রদর্শনের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এনবিএস/ওডে/সি