এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ মে, ২০২২, ০৩:০৫ পিএম
ভারতকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, গম রফতানি নিয়ে জি-৭-এর সমালোচনার জবাবে চিন
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য গত সপ্তাহে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত (India-China)। সেজন্য তার কড়া সমালোচনা করেছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। রবিবার ভারতের সমর্থনে বিবৃতি দিল চিন। তাদের বক্তব্য, ভারতের (India-China) মতো উন্নয়নশীল দেশকে দোষ দিয়ে বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করা যাবে না।
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, “বর্তমানে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কৃষিমন্ত্রীরা ভারতকে (India-China) অনুরোধ করছেন, তারা যেন গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। তারা নিজেরা খাদ্য আমদানি বাড়াচ্ছে না কেন?”
গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “ভারত (India-China) বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক। কিন্তু খুব সামান্য পরিমাণ গমই তারা রফতানি করত। অন্যদিকে কয়েকটি উন্নত দেশ, যথা আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া বিপুল পরিমাণে গম রফতানি করে।” গ্লোবাল টাইমসের বক্তব্য, কয়েকটি পশ্চিমী দেশও গম রফতানি কমিয়ে দিয়েছে। তাদের ভারতকে সমালোচনা করা উচিত নয়। কারণ ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
গত শনিবার গম রফতানি নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিবৃতি দেয় ভারত। তাতে বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে যাতে খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় থাকে, সেজন্যই গম রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে গম রফতানির যে চুক্তিগুলি করা হয়েছে, সেগুলি বাতিল হচ্ছে না। শনিবার গম রফতানি বন্ধ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন খাদ্য ও ক্রেতা সংক্রান্ত দফতরের সচিব সুধাংশু পাণ্ডে এবং কৃষি সচিব মনোজ আহুজা। তাঁরা বলেন, যে সব ক্ষেত্রে রফতানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট ইস্যু করা হয়েছে, সেখানে গম পাঠানো হবে।
বাণিজ্য সচিব সুব্রহ্মণ্যম বলেন, আমরা নিজেদের দেশে তো বটেই, প্রতিবেশী দেশগুলিতেও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। খরব দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে