ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

‘ঘ্যাচাং ফু করে কেটে দেব’, তৃণমূলের সম্মেলনে সাফ হুঁশিয়ারি মমতার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৮ মে, ২০২২, ০৩:০৫ পিএম

‘ঘ্যাচাং ফু করে কেটে দেব’, তৃণমূলের সম্মেলনে সাফ হুঁশিয়ারি মমতার

‘ঘ্যাচাং ফু করে কেটে দেব’, তৃণমূলের সম্মেলনে সাফ হুঁশিয়ারি মমতার

 বাংলায় পুরভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে যখন ‘পাওয়ার স্ট্রাগল’ চলছে, তখন দলীয় এক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, সরকার এবং সংগঠন দুটোই তিনি দেখবেন।

দিদির কথা মতো কাজ। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠকও বুধবার থেকে পুরোদস্তর শুরু করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী (Mamata Banerjee)। এবং প্রথম দিনের বৈঠকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন, স্রেফ আমি-র আবরণে থেকে তৃণমূল করা যাবে না। আমি নয় আমরা এই সার কথাটা সর্বক্ষণ মাথায় রাখতে হবে।

বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর থেকেই জেলায় জেলায় একাংশ নেতা-কর্মীর মধ্যে পারস্পরিক রেষারেষি বেশ দৃশ্যমান। কারণ, কখনও কখনও তা বাকযুদ্ধের গণ্ডি পেরিয়ে সন্মুখ সংঘাতের স্তরেও পৌঁছে যাচ্ছে। শুধু তা নয়, নিচুতলার বেশ কিছু নেতা এতটাই বেপরোয়া যে তাঁরা জেলা সভাপতি, স্থানীয় বিধায়ক বা সংসদকে মানতে চাইছেন না।

 বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সাংগঠনিক ভাবে এই জেলার সমস্ত বিষয় সার্বিক ভাবে জেলা অজিত মাইতিই দেখবেন। তাঁর কথায়, “আমি অজিতকে বলে যাব, যতক্ষণ না নতুন ব্লক কমিটি হচ্ছে, যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে ব্লকে ব্লকে মিটিং করো। নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমাও।”

এর পরই হুঁশিয়ারি দিয়ে দিদি বলেন, “কেউ কেউকেটা হয়ে যায়নি। কেই জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে গেছে মানে এই নয় যে সে নিজের মতো সব করে নেবে। তা করলে ঘ্যাচাং ফু করে কেটে দেব। কেটে দিতে আমার এক সেকেন্ডের বেশি সময় লাগবে না”। তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, “যাঁরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, আজন্ম রয়েছেন, তাঁদের সম্মান দিয়ে কাজ করতে হবে। তাঁদের দুঃখ দুর্দিনে পাশে থাকতে হবে। বিধায়কের কাজ হবে এলাকার সবাইকে নিয়ে চলা। তবেই দল এগোবে”।খরব দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে