এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ মে, ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম
নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন সালসাবিল!
দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য জীবন নিয়ে ঝামেলা চলছে মাইনুল আহসান নোবেল ও সালসাবিলের। এর আগে বেশ কয়েকবারই তাদের ডিভোর্সের খবর পাওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তীতে এর সত্যতা মেলেনি। তবে আবারো তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালসাবিল।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে ডিভোর্সের বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা, যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না। সে বলে, নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’
তিনি লেখেন, ‘আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে, নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী, কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী (দরকার হলে নাম বলব); যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনও দেখেননি। কিন্তু নোবেলের আশেপাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও)।’
সালসাবিল আরও করেন, ‘বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে। যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই।
আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে, এখন জড়িত। মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।’
এনবিএস/ওডে/সি