ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী, চাপে এরদোগান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১২ মে, ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী, চাপে এরদোগান

 তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী, চাপে এরদোগান

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে এক প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে আরো চাপে পড়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। হোমল্যান্ড পার্টির মুহাররেম ইনসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার। এতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ দলীয় বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুর অবস্থান আরো শক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জনমত জরিপে বিরোধী জোটের প্রার্থী থেকে এমনিতেই পিছিয়ে আছেন এরদোগান। আগামী রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির ইতিহাসে এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তুরস্কের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবমিলিয়ে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এরমধ্যে একজন সরে দাঁড়ানোয় আর মাত্র তিনজন এই দৌঁড়ে টিকে রইলেন। কিলিচদারোগলুর মূল লক্ষ্য তুরস্কে এরদোগান ও তার ইসলামপন্থী একেপি দলের ২০ বছরের শাসনের অবসান ঘটানো।

মুহাররেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমি আমার দেশের জন্য এটা করছি।’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে দৃশ্যত মিথ্যা প্রচারণাকে দায়ী করেছেন তিনি। মুহাররেম বলেন, ‘তুরস্ক আমার সম্মান রক্ষা করতে পারেনি। একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সুনামটা গুরুত্বপূর্ণ।’

কোনো জোটের বাইরে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন ৫৯ বছর বয়সী মুহাররেম। নিজের হোমল্যান্ড পার্টিকে রাজনীতিতে ‘তৃতীয় শক্তি’ বলে দাবি করতেন তিনি। মুহাররেম বলেন, ‘তুরস্কের ভবিষ্যতের জন্য হোমল্যান্ড পার্টির প্রয়োজনীয়তা আছে। অবশ্য দলটি পার্লামেন্টে থাকবে। আমি প্রত্যেক পরিবার থেকে হোমল্যান্ড পার্টির জন্য ভোট চাই।’

নির্বাচন নিয়ে গত ৬ ও ৭ মে ৩ হাজার ৪৮০ মানুষের ওপর একটি জরিপ চালায় তুরস্কের স্বাধীন গবেষণা ও পর্যবেক্ষক সংস্থা কোন্ডা। এতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেমাল। ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাকে নেতৃত্বে দেখতে চান। আর এরদোগানকে সমর্থন করেন ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওরগানের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের। অপরদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো মুহারেম ইনসের প্রতি সমর্থন ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। এই ভোটগুলোর বেশিরভাগ এখন কেমালের পক্ষে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনবিএস/ওডে/সি