ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

নামিবিয়াতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে আধিকারিকদের, চিতার মৃত্যুমিছিল রুখতে এবার তৎপর কেন্দ্র


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ মে, ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

নামিবিয়াতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে আধিকারিকদের, চিতার মৃত্যুমিছিল রুখতে এবার তৎপর কেন্দ্র

নামিবিয়াতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে আধিকারিকদের, চিতার মৃত্যুমিছিল রুখতে এবার তৎপর কেন্দ্র

দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে ২০টি চিতাবাঘ এদেশে এনেছিল মোদী সরকার। কিন্তু ভারতে আসার পর থেকেই একের পর এক চিতার মৃত্যু হয়েছে  মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। শুধুমাত্র মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পূর্ণবয়স্ক এবং শাবক মিলিয়ে ৬টি চিতার মৃত্যু হয়েছে।

 একের পর এক চিতামৃত্যুর ঘটনায় সামনে আসার পরেই এবার কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব জানালেন, চিতা সংরক্ষণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়ার যেখান থেকে চিতাগুলিকে আনা হয়েছিল, সেখানে পাঠানো হবে প্রশিক্ষণের জন্য।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে ভোপালে একটি বৈঠক করেন ভুপেন্দর যাদব।

তখনই তিনি জানান, আগামী ৬ জুন চিতাগুলির অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি নিজে কুনো জাতীয় উদ্যানে যাবেন। চিতাগুলির সুরক্ষা, সংরক্ষণ এবং পুনরুজ্জীবনের জন্য আর্থিক এবং সমস্ত লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী।

০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে নামিবিয়া থেকে ৫টি পুরুষ চিতা এবং ৩টি মহিলা চিতা অর্থাৎ মোট ৮টি চিতা আনা হয় কুনো জাতীয় উদ্যানে। এরপর আরও ১২টি চিতা আসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই একের পর এক চিতার মৃত্যুমিছিল শুরু হয়। শুধু মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৩টি পূর্ণবয়স্ক এবং ৩টি সদ্যোজাত শাবকের মৃত্যু হয়। একের পর এক চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার তথা কুনো কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ভারতে যেভাবে ছোট জায়গায় প্রাণীগুলিকে রাখা হয়েছে, তাতে আরও চিতার মৃত্যু দেখার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণীবিদরা আরও জানিয়েছিলেন, আফ্রিকান চিতা এইভাবে থাকে না। তাদের বিচরণের জন্য অনেক বড় খোলা জায়গা লাগে। কুনোর জাতীয় উদ্যানে সেই ব্যবস্থা নেই। তাদের খোলামেলা জায়গায় ছাড়তে হবে, হাতের কাছে যাতে শিকার থাকে তা দেখতে হবে। আফ্রিকায় যখন চিতারা ছিল তখন তাদের জন্য বিশাল বড় জায়গা রাখা হয়েছিল। প্রতিদিন দু’বার করে গিয়ে দেখে আসা হত চিতাদের। তারা কী খাচ্ছে, কখন খাচ্ছে, শরীর ঠিক আছে কিনা এইসব খতিয়ে দেখা হত দিনে কম করেও দু’বার।

যদিও ভুপেন্দর যাদব জানিয়েছেন, কুনোতে যতগুলি চিতা থাকা সম্ভব, তার চেয়ে কমই রয়েছে। তবে কুনোর পাশাপাশি গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যতেও চিতাদের জন্য বিকল্প বাসস্থান তৈরি করা হচ্ছে বলে জনিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনটি চিতা শাবকের মৃত্যুতে তিনি ব্যথিত। তিনি বলেন, এটা ঠিকই যে সারা বিশ্বে চিতা শাবকের বেঁচে থাকার হার কম, তবে প্রাণীগুলির যাতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন তিনি।সূত্র: এশিয়া নেট নিউজ বাংলা
 
এনবিএস/ওডে/সি