এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২২, ০১:০৫ পিএম
অসমে পুলিশ হেফাজতে মুসলিম যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় আগুন, আটক ২০
ভারতের বিজেপিশাসিত অসমে পুলিশ হেফাজতে সফিকুল ইসলাম (৩৯) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী মুসলিম যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজিত জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দিলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত সফিকুল মাছের পোনা বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, আজ (রোববার) সংবাদ সংস্থা ‘এএনআই’ সূত্রে প্রকাশ, বটদ্রবা থানায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় নগাঁও জেলা প্রশাসন অভিযুক্ত পাঁচটি পরিবারের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে।
আজ পুলিশের ডিআইজি (সেন্ট্রাল রেঞ্জ) সত্যরাজ হাজারিকা বলেন, ‘গতকাল ২১ মে বটদ্রবা থানায় আগুন লাগানোর ঘটনায় আমরা ২০ জনকে আটক করেছি। ওই ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদের মধ্যে চার জন নারীকেও আটক করা হয়েছে। থানা কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।’
গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, নগাঁও জেলার বটদ্রবা থানার ওই ঘটনায় গতকাল (শনিবার) রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানায় হামলা চালানোর ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু করেছে।
গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বটদ্রবা থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং রাইফেল, পিস্তল ইত্যাদি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। গত (শুক্রবার) রাতে নিয়মিত টহলদারির সময়ে সফিকুল ইসলাম নামে ওই মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করে বটদ্রবা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সফিকুলের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তার মুক্তির বিনিময়ে দশ হাজার টাকা ও একটা হাঁস ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ। পুলিশ অবশ্য পরিবারের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, নিহত যুবকের পরিবারের দাবি টাকা জোগাড় করে থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় সফিকুলের শরীর খারাপ হওয়ায় তাকে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন সফিকুল ইসলাম মারা গেছে এবং তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাকে থানায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তার লাশ বটদ্রবা থানায় নিয়ে এলে উত্তেজিত জনতা পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময়ে দু’জন পুলিশ সদস্যকেও মারধর করে ক্ষুব্ধ জনতা। আহত অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, রাতে মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় পাওয়া যাওয়ায় তাকে থানায় আনা হয়েছিল।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে