এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ জুন, ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
সেনা-পুলিশের অভিযানের পর কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ’ নাটকীয় হ্রাস
ভারতের দি প্রিন্ট’এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কাশ্মীরে অপারেশন ‘সাহি রাস্তা’ গত বছর বারামুল্লা জেলার পাত্তনে শুরু করা হয়। এখন এধরনের অভিযান অনন্তনাগে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই বছর মাত্র সাতজন যুবক সন্ত্রাসী দলে যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এধরনের অভিযানে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী নিয়োগে এই বছর প্রথম পাঁচ মাসে মাত্র সাতজন যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদান করেছে। ভারতের প্র্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রগুলি জানিয়েছে ২০২২ সালে ১২১ জন তরুণ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদান করেছিল। এই সংখ্যা ২০২১ সালে ১৪২ ও ২০২০ সালে ছিল ১৭৮ জন।
২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে একটি কঠোর লকডাউন আরোপ হয়। ওই বছর সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ ছিল ১১৭, ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১০।
কাশ্মীরে কট্টরপন্থা বা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ একসাথে যে ‘সাহি রাস্তা’ নামে যৌথ অভিযান শুরু করেছে তার ফলেই এধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কর্মসূচির অধীনে, মৌলবাদী যুবক বা যারা মৌলবাদী হয়ে উঠছে তাদের একটি মাধ্যমে রাখা হয়। একটি বিশেষ কেন্দ্রে ২১-দিনের কর্মসূচিতে তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ক্যারিয়ারের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের সাথে কাউন্সিলিং করা হয়। এ ধরনের কর্মসূচি গত বছর বারামুল্লা জেলার পাত্তনে শুরু হয়েছিল, এবং এখন অনন্তনাগে আরেকটি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ১৮০ জন যুবক এ ধরনের কাউন্সিলিংয়র মধ্যে দিয়ে নিজেদের সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছে। এই ১৮০ জন যুবকের মধ্যে মাত্র একজন শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসী দলে যোগদান করেছে। সেই ছেলেটিও এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে এসেছে বলে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছাড়াও পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের এধরনের কর্মসূচিতে পাঠিয়ে দিতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে।
সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করেছে যে কোভিডের সময় পারিবারিক বন্ধন বৃদ্ধি পেয়েছিল, কারণ যুবক এবং প্রবীণরা একসাথে সময় কাটাতে বাধ্য হয়েছিল। তারা বলেন, এটি তরুণদের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অতীতে অনানুষ্ঠানিক ডি-র্যাডিকেলাইজেশন প্রোগ্রামগুলি পরিচালিত হয়েছিল তবে এটি প্রথমবারের মতো একটি কাঠামোগত পদ্ধতিতে, বিচক্ষণতার সাথে করা হচ্ছে।
এছাড়া ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং জেএন্ডকে রাজ্য তদন্ত সংস্থার মাধ্যামে সন্ত্রাসের পরিকাঠামো এবং অর্থায়নের উপর একটি ধারাবাহিক ক্র্যাকডাউনও সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ কমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অধিকন্তু, মূল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে বড় আকারের সন্ত্রাসী নিয়োগ এবং র্যাডিক্যালাইজেশন প্রোগ্রাম অচল করে দেওয়া হয়। সবশেষে, সূত্রগুলি বলেছে, তরুণরা আইনের শাসনকে ভয় পায় কারণ যে কোনও ভুল কর্মকাণ্ড কঠোর পুলিশি পদক্ষেপের দিকে তাদের নিয়ে যেতে পারে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি