ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ইসরাইলি সৈন্যের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনি শিশুটি মারা গেছে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৭ জুন, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম

ইসরাইলি সৈন্যের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনি শিশুটি মারা গেছে

 ইসরাইলি সৈন্যের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনি শিশুটি মারা গেছে

আহত হওয়ার চারদিন পর মোহাম্মদ তামিমি নামে শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ইসরায়েলের গুলিতে আহত হয় তিন বছর বয়সী তামিমি। চলতি বছর সহিংসতায় নিহত হওয়া ফিলিস্তিনের সবচেয়ে কম বয়সী শিশু তামিমি।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবি সালেহ এলাকায় নিজেদের বাড়ি থেকে বের হবার সময় তামিমি এবং তার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, ওই এলাকার খুব নিকটবর্তী ইহুদি বসতিতে দুই বন্দুকধারীকে তাড়া করার সময় গুলি চালায় সৈন্যরা।

ওই ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী 'বেসামরিক নাগরিকদের' ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বিলাল তামিমিও ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন।

তিনি বলেছেন যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নাবি সালেহের প্রবেশদ্বারে একটি গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানোর অপেক্ষায় ছিল এবং গাড়িটি কাছে আসার সাথে সাথে তারা গুলি চালায়।

মোহাম্মদ তামিমি নামের ওই শিশুটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়।

গুলিবিদ্ধ হবার পরপরই ইসরাইলি সেনারা তাকে হেলিকপ্টারে করে সাফরা চিল্ড্রেনস হসপিটালে নিয়ে যান। কিন্তু মাথায় আঘাত পাওয়া শিশুটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন চিকিৎসকেরা।

শিশুটির বাবা হাইথাম তামিমি ফিলিস্তিনের হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলের মৃত্যুর আগে তিনি ইসরাইলে গিয়ে তাকে দেখে আসতে পেরেছেন।

নাবি সালেহর বাইরে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট রয়েছে।

একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, যেখানে দুই ব্যক্তিকে গুলি করতে দেখা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে হালামিশ বসতি যা নেভেহ তজুফ নামেও পরিচিত-সেখানে গোলাগুলির ঘটনাটি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।

এদিকে, সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৈন্যরা পাল্টা গুলি চালায়, যার ফলে দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়।

“(ইসরাইলের সেনাবাহিনী) এরকম ক্ষতির জন্য অনুতপ্ত এবং এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে," এক বিবৃতিতে বলেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

হালামিশের বসতি স্থাপনা করা হয়েছিল ১৯৭০ সালের দিকে এবং এর নিকটবর্তী ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সাতে ইসরাইলি সেনাদের দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল।

বেশ কয়েক বছর ধরে, শুক্রবারের বিক্ষোভগুলো হচ্ছিল নাবি সালেহতে। গ্রামের জমি বাজেয়াপ্ত করা এবং দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আর এরকম প্রতিবাদ প্রায়শই ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে সহিংস সংঘাতে গড়ায়, অনেক সময় সেনারা বিক্ষোভকারীদের আটকাতে টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজায় ইসরাইলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা প্রায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক মানুষও রয়েছেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি