এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৪ জুন, ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
মিয়ামির আদালতে আর্জি ট্রাম্পের, ‘দোষী নই’
নিউজার্সি থেকে ব্যক্তিগত বিমানে স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় নাগাদ মিয়ামি পৌঁছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ফেডারেল ফৌজদারি মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেছেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষেও তিনি নিজের কাছে বেআইনিভাবে জাতীয়-নিরাপত্তার নথিপত্রগুলো রেখে দিয়েছেন। পাশাপাশি সেসব নথি পুনরুদ্ধার করতে যাওয়া কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা বলে তদন্তে বাধা দেয়ার চেষ্টাও করেছেন ট্রাম্প। তবে মিয়ামির আদালতে এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আদালতে ট্রাম্পের পরণে ছিল নীল স্যুট ও লাল টাই। আদালত কক্ষে প্রবেশ করে তিনি একটি চেয়ারে হেলান দিয়ে ভ্রু কুঁচকে বসে ছিলেন। ৪৭ মিনিট ধরে চলা ওই শুনানির সময় তিনি একটি কথা বলেননি। শুনানি শেষে ট্রাম্পকে কোনো শর্ত বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আদালত ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারক গুডম্যান রায়।
ট্রাম্পের সহযোগী ওয়াল্ট নাউটা এই মামলায় অভিযুক্ত। তিনিও ট্রাম্পের সঙ্গে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আদালত ত্যাগের সময় বাইরে ট্রাম্পের সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছিল ‘আমরা ট্রাম্পকে ভালোবাসি’।
ট্রাম্পের বিচার উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণ কঠিন নিরাপত্তার বলয়ে ঘেরা ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে এটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার আদালত হাজিরা। ট্রাম্পই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে ফেডারেল অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে নিউ ইয়র্কে আরেকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
উভয় অভিযোগেই ট্রাম্প বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ‘হাস্যকর ও ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে দূরে সরাতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে ফেডারেল মামলা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার আদালত থেকে বের হয়েই একটি কিউবান রেস্টুরেন্টে যান ট্রাম্প। সেখানে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কারচুপি, দুর্নীতি এবং পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন একটি সরকার পেয়েছি যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
ট্রাম্প বলেন, আমি ক্ষমতায় এলে সত্যিকারের একজন স্পেশাল প্রসিকিউটরকে নিয়োগ করব। যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাইডেনের পুরো অপরাধী গোষ্ঠীকে নিয়ে তদন্ত করবেন। তারপরই ট্রাম্প সমর্থকরা বাইডেনকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলে ‘লক হিম আপ’ স্লোগান দিতে থাকে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি