এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ জুন, ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
চীন-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চীন-মার্কিন শীর্ষ কুটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ কুটনীতিকরা সোমবার (১৯ জুন) বেইজংয়ে বৈঠকে মিলিত হন। দুই দেশের অবনতিশীল সম্পর্ক উন্নয়নে দুদেশ পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্যে এ এন্টনি ব্লিনকেন ও চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিশনের পরিচালক ওয়াং ই’র মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। ব্লিনকেন দুদিনের সফর শেষ করার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শিন জিনপিংএর সঙ্গেও দেখা করবেন কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
ব্লিনকেন চীন সফর শেষে লন্ডনে যাত্রা করবেন। রোববার ব্লিনকেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং সঙ্গে বৈঠক করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের আলোচনাকে ‘খোলামেলা, বাস্তবসম্মত ও গঠনমূলক’ বলে বর্ণনা করেছে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ ৭ ঘন্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে দুইদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য ব্লিনকেন কিনকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানান।
চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনকে বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বেইজিং। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিন গ্যাং ওয়াশিংটন সফরে সম্মত হয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কিন বলেছেন, চীন-মার্কিন সম্পর্কের জন্য তাইওয়ান হচ্ছে ‘সবচেয়ে বড় ঝুঁকি’। একইসঙ্গে তাইওয়ান ইস্যুটিকে ‘চীনের প্রধান স্বার্থগুলোর একটি’ বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে চীনে কোনো শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিকের এটিই প্রথম সফর। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অ্যান্টনি ব্লিনকেনই সবচেয়ে সিনিয়র নেতা যিনি চীন সফর করলেন।
অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরটি আরও পাঁচ মাস আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন উড়ে যাওয়ার পর ব্লিনকেন সেই সফরটি স্থগিত করেন।
মূলত চীন স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখে যা শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে তাইওয়ান তার নিজস্ব সংবিধান এবং নেতাদের সাথে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে নিজেকে আলাদা হিসাবে মনে করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছর বলেছিলেন, চীন আক্রমণ চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে। সেসময় বাইডেনের সেই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছিল বেইজিং। তবে আলোচনার পর অ্যান্টনি ব্লিংকেন বা কিন গ্যাং কেউই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি