ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

নিষিদ্ধের জবাবে জেবা তুললেন কুপ্রস্তাবের অভিযোগ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৯ জুন, ২০২৩, ১০:০৬ পিএম

নিষিদ্ধের জবাবে জেবা তুললেন কুপ্রস্তাবের অভিযোগ

 নিষিদ্ধের জবাবে জেবা তুললেন কুপ্রস্তাবের অভিযোগ

নবাগত অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংগঠনটি। ডিরেক্টরস গিল্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। এই সিদ্ধান্ত আগামী ২০ জুন থেকে কার্যকর হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এবার ডিরেক্টরস গিল্ডের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মুখ খুললেন জেবা। জানালেন, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা।

ঘটনাটি এক বছর আগের বলেও জানান জেবা। নতুন করে এখন সামনে আনার উদ্দেশ্যও তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘বুঝতেছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণও জানাননি। আমি নতুন এসেছি বলেই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’

জেবা বলেন, ‘ঘটনাটা এক বছর আগের। এত দিনে এই ঘটনাটা তারা সামনে আনলেন। ওই সময় সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এরপরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও ফেইস করি। যেমন অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও তারা আমাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিত না।’

এই নবাগতা বলেন, ‘ওই সময়ে নিয়ম ছিল রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না। তারপরও তারা গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং করাতেন। ওনারা চাইলে সন্ধ্যারাতেও শুটিং করতে পারতেন। যা-ই হোক, প্রথম কয়েক দিন কাজ করলেও পরে ট্রান্সপোর্ট অসুবিধার কারণে আমি তাদের বলি, আমি এই কাজটা আর করতে পারব না। তো আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান, এই বলে, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।’

তিনি বলেন, ‘শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে থ্রেট দেন, যে আমার মিডিয়ায় কাজ করা তারা বন্ধ করে দেবেন। এইসব কারণে আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।’

জেবা বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজবেন্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। তো ওনার হাসব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এরপর থেকেই ওনারা হাজব্যান্ড-ওয়াইফ মিলে আমার পেছনে লেগেছেন। শুধু আমার সঙ্গে নয়, এমন আচরণ তারা আরও অনেকের সঙ্গেই করেছেন কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে তারা এমন অভিযোগ এনেছেন।’

এদিকে জেবার এমন অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছেন দোদুল। তিনি বলেন, ‘আমি তো তাকে (জেবা) গভীরভাবে চিনিও না। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এত বছরের ক্যারিয়ার আমার, আমি খুব নীরবে-নিঃশব্দে কাজ করি। আমি দোষী হলে সে কেন আমার বিরুদ্ধে এত দিন অভিযোগ করেনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে মিথ্যা নাটক সে সাজাচ্ছে। মিথ্যা ঘটনা সে তৈরি করছে। জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছে। কিংবা তার নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব কমাতে এ ধরনের কাজ সে করছে। সে লাজুকের সঙ্গেও অনেকদিন কাজ করে না। ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে যখন তাকে ডেকেছে, তখন কেন সে অভিযোগ করেনি? অনেকদিন জেবার সঙ্গে আমার ফোনে কিংবা সামনাসামনি যোগাযোগ নেই। আমি আমার জীবন ও কাজকর্ম নিয়ে আছি। জেবা একাই আমাকে খারাপ বানিয়ে দিলেন! আর আমি এত বছর ধরে কাজ করি মিডিয়াতে, আর কেউ খারাপ বলল না! আমি তো তাকে চিনতামই না।’

উল্লেখ্য, জেবা জান্নাত জয়নাল হাজারির ফেসবুক টকশোতে প্রথমবার হাজির হয়েছিলেন। এরপর টিকটকে পরিচিতি পান। পরে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন। আফরান নিশোর সঙ্গে তার ‘ক্রস কানেকশন’ নাটকের একটি ক্লিপস ভাইরাল হয়। এছাড়া ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

 এনবিএস/ওডে/সি