ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের নেপথ্যে, চীনকে ঠেকাতে ভারতকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২১ জুন, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের নেপথ্যে, চীনকে ঠেকাতে ভারতকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র

 মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের নেপথ্যে, চীনকে ঠেকাতে ভারতকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রয়েছে। চীনকে ঠেকাতে এ সম্পর্ককে কাজে লাগাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

সরকারি সফরে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ব্যাপারে অভিন্ন উদ্বেগ দু’দেশের সম্পর্ককে ক্রমশ আরও শক্তিশালী করেছে।

সুসম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজ সভার আয়োজন করেছে। দিল্লি ও ওয়াশিংটন বাণিজ্য ও অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা জোরদার করেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলাইভান সাম্প্রতিক দিল্লি সফরকালে ভারত-মার্কিন সম্পকের্র ‘গতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন’। যুক্তরাষ্ট্রে মোদির ঐতিহাসিক সফরের কয়েকদিন আগে সুলাইভান দিল্লি সফর করেন। তবে মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলেছে, মোদির জন্য আড়ম্বরপূর্ণ ভোজের আয়োজন মূলত মোদির নেতৃত্বাধীন উগ্রডানপন্থীদের প্রতি সমর্থন প্রদান করা যাতে বাইডেন প্রশাসনের ঘোষিত পররাষ্ট্র নীতি উপেক্ষিত হয়েছে।  এ নীতিতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।

মোদির শাসনামলে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ বা হিন্দুত্ববাদের ঝুঁকে পড়েছে সরকার এবং দেশটির মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এবং ভিন্নমত দমনের জন্য মোদিরও সমালোচনা করা হচ্ছে।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (সিএআইআর) উপনির্বাহী পরিচালক এডওয়ার্ড মিচেল ফোনে আল-জাজিরাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ভোজ সভা হল একটি বিশেষ অনুষ্ঠান যা যে কোন বিদেশী নেতাকে দেওয়া হয় না।’

তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউস কিভাবে এমন একজন নেতাকে সম্মানিত করতে পারে যিনি উগ্রপন্থী আদর্শের অনুসারি অন্ধ মুসলিম বিদ্বেষী, সংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপকারী এবং  প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় চোখ বন্ধ থাকেন?’  

মিচেল বলেন, ‘মোদিকে অতি সম্মানিক করার অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়াও আপনারা ভারত ও মোদির সঙ্গে কাজ করতে পারেন।’

মানবাধিকার গ্রুপগুলো ভারতের মানবাধিকারের বিষয় যাচাই করার আহ্বান জানাচ্ছে অন্যদিকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসন প্রধানত চীনের মোকাবিলায় সম্ভাব্য শক্তি হিসেবে ভারতের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কুউনসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সারং শিডোর আল-জাজিরাকে বলেন,  ‘তার ধারণা চীনকে নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগ যতদিন থাকবে ততদিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক জোরদার হতেই থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতোই যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতি গণতন্ত্রের আলোকে নয় বরং তার স্বার্থে ভিত্তিতে নির্ধারণ করে থাকে।’

চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি এবং আঞ্চলিক দাবি ভারতসহ প্রতিবেশীদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনকে মোকাবিলায় এসব দেশের সঙ্গে নানা জোট গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

 এনবিএস/ওডে/সি